বাস্তবতা
ছেলে: আধো বিশ্বাস আধো অবিশ্বাসে দুলতে দুলতে বললো, "কেনো? কী হইছে?"
মেয়ে :খুব নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে উত্তর দিলো, "আমার অন্য কোথাও বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে, আমি সেখানেই কনটিনিউ হতে চাই।"
বিশ্বাস করতে পারছিলো না সে । বললো, "আরে ধুর, ফাইজলামি করো ক্যান!"
ফোন কেটে দেয় ।
এরপর অনেক চেষ্টা করেও আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি তার সাথে। সপ্তাহ দুয়েক পর খবর পেয়েছিলো, মেয়েটি ফ্যামিলির ছাপে অন্যত্র বিয়েতে রাজী হয়েছে। তখন বিয়েটা হয়েছিলো 2010 সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম শুক্রবার, এ পর্যন্তই তার নামটা ছেলেটির প্রতি রাতের চোখের জলে আর ফোনবুকের jaan নামের আড়ালেই রয়ে গেলো। মাঝে মধ্যে মেয়েটির সাথে কথা হতো, ছেলেটিকে বলতো "আমার জন্য আর সময় নস্ট ননা করে এখন বিয়েটা করে ফেলো,
ছেলেটা প্রতিউত্তরে বলতো
"তুমি ভালো থেকো, আমি নিজের মতই আছি"
প্রায় আরো ৬ মাস পর সেই jaaan এর নাম্বার থেকে কল, ছেলেটি বুঝে উঠতে পারে না কী করবে। শেষমেষ কলটা রিসিভ করলো। যতটা না অভিমান কিংবা কষ্ট, তার চেয়েও বেশি কৌতুহল ভরা কন্ঠে বললো,
- হ্যালো? কেমন আছো?
তার কন্ঠটা আগের মত আর বাচ্চা বাচ্চা নেই। নারীত্বের ছাপ স্পষ্ট।
-
-
ছেলে-কেমন আছো?
মেয়ে- বেঁচে আছি।
ছেলে- তোমার শরীর ভালোতো?
মেয়ে- হ্যা ভালো আছি আমি খুব সরি...
ছেলে- বাদ দাও। তারপর কেমন আছো? খুব সুখেই আছো নিশ্চয়?
মেয়ে- আমি রিয়েলি অনেক সরি। প্লিজ..
ছেলে-তোমার হাজব্যন্ড কেমন আছে?
মেয়ে-প্লিজ... আমাকে মাফ করে দাও...
ছেলে- এখানে মাফ করার কি আছে?
- স্টপ! স্টপ ইট!
ওপাশ থেকে চিৎকার করে ওঠে সে । সেই সাথে শোনা গেলো কান্নার আওয়াজ... প্রতিহিংসা কমিয়ে ছেলেটি শান্তভাবে বললো,
"এমন করলা কেন আমার সাথে? আমার খুব সুন্দর একটা জীবন ছিলো,
কেন নিজ হাতে নস্ট করে দিয়ে গেলা?
কাঁদতে কাঁদতে সে অনেক কথা বলে,
ছেলেটা জিজ্ঞেস করলো
-তোমার টাকাওয়ালা হাজব্যন্ডকে নিয়ে এখন কেমন আছো?
মেয়েটি উত্তরে বলল
- সে সড়ক দুর্ঘটনায় ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ২ তারিখে মারা গেছে...
অভিমানী প্রেমিকের সব দম্ভ নিমেষেই চুরমার হয়ে গেল। শুধু বললো,
- "তুমি কোথায় এখন? দেখা করো প্লিজ... এই মুহুর্তে..."
অনেকদিন পর দেখা হল। সিলেটের 'লাংথুরাই' চাইনিজ রেস্টুরেন্টে। টেবিলের ওপাশে বসা মেয়েটা বড্ড অচেনা লাগছে। ঠোট থেকে মুছে গেছে সব স্পর্শের ছাপ। সাবেক প্রেমিকার দিকে তাকিয়ে বললো,
ছেলে- তারপর এখন ফিউচার প্লান কী?
মেয়ে- জানি না।
ছেলে- বিয়ে শাদী করে ফেলো একটা।
মেয়ে- হুম।
ছেলে- তুমি আমাকে নিয়ে আবার কোনো স্বপ্ন দেখছো না তো?
মেয়েটি খুব অসহায়ের মত তার দিকে তাকালো।
সে বুঝতে পেরে বললো,
ছেলে- কি অদ্ভুত। আমার কোনো লাইফ নেই? তুমি কি ভেবেছো সারাজীবন ওয়েট করবো তোমার জন্য?
মেয়ে- :ওও। আমি সরি।
উঠে দাড়ালো । চোখে জল টলমল করছে। ঘুরে দরজার দিকে পা বাড়ালো। মেয়েরা এভাবেই কান্না লুকোয়। যার জন্য কান্না, তাকে দেখায় না, কিন্তু পৃথিবীবাসীকে দেখায়।মি.লি. মেয়েরা আর কিছুই চায়না, শুধু ভরসার হাতই তাদের ছাওয়া,
চোখের জলের কি মায়াবী অপচয়! পেছন থেকে হাতটা টেনে ধরলো ছেলেটি। হাসিমুখে বললো,
- "এই রেস্টুরেন্টের পোলাও এ লবন অনেক কম। দেখি, কয়েক ফোটা চোখের পানি দিয়ে যাও। চোখের পানি ও লবনাক্ত।"
মেয়েটা কেঁদে ফেললো ।
- "এত কাঁদো ক্যান? অবশ্য ভালোই হইছে। আমাদের সংসারে লবন কিনতে হবে না। তোমার চোখের পানিতেই রান্না হয়ে যাবে
সব ঠিকঠাক, হঠাৎ একদিন মেয়েটি জানালো, "আমি রিলেশনটা কনটিনিউ করতে পারবো না। আমি সিরিয়াস।"
ছেলেটি খুব অবাক হয়ে মোবাইলের দিকে তাকালো। প্রায় ৬ মাস পর সেই নাম্বার থেকে কল। মোবাইলের স্ক্রীনে খুব সুন্দর করে লেখা jaaan calling... ৭ বছর আগে তার সাথে মেয়েটির ব্রেকআপ হয়ে যায়।
মেয়ে :খুব নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে উত্তর দিলো, "আমার অন্য কোথাও বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে, আমি সেখানেই কনটিনিউ হতে চাই।"
বিশ্বাস করতে পারছিলো না সে । বললো, "আরে ধুর, ফাইজলামি করো ক্যান!"
ফোন কেটে দেয় ।
এরপর অনেক চেষ্টা করেও আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি তার সাথে। সপ্তাহ দুয়েক পর খবর পেয়েছিলো, মেয়েটি ফ্যামিলির ছাপে অন্যত্র বিয়েতে রাজী হয়েছে। তখন বিয়েটা হয়েছিলো 2010 সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম শুক্রবার, এ পর্যন্তই তার নামটা ছেলেটির প্রতি রাতের চোখের জলে আর ফোনবুকের jaan নামের আড়ালেই রয়ে গেলো। মাঝে মধ্যে মেয়েটির সাথে কথা হতো, ছেলেটিকে বলতো "আমার জন্য আর সময় নস্ট ননা করে এখন বিয়েটা করে ফেলো,
ছেলেটা প্রতিউত্তরে বলতো
"তুমি ভালো থেকো, আমি নিজের মতই আছি"
প্রায় আরো ৬ মাস পর সেই jaaan এর নাম্বার থেকে কল, ছেলেটি বুঝে উঠতে পারে না কী করবে। শেষমেষ কলটা রিসিভ করলো। যতটা না অভিমান কিংবা কষ্ট, তার চেয়েও বেশি কৌতুহল ভরা কন্ঠে বললো,
- হ্যালো? কেমন আছো?
তার কন্ঠটা আগের মত আর বাচ্চা বাচ্চা নেই। নারীত্বের ছাপ স্পষ্ট।
-
-
ছেলে-কেমন আছো?
মেয়ে- বেঁচে আছি।
ছেলে- তোমার শরীর ভালোতো?
মেয়ে- হ্যা ভালো আছি আমি খুব সরি...
ছেলে- বাদ দাও। তারপর কেমন আছো? খুব সুখেই আছো নিশ্চয়?
মেয়ে- আমি রিয়েলি অনেক সরি। প্লিজ..
ছেলে-তোমার হাজব্যন্ড কেমন আছে?
মেয়ে-প্লিজ... আমাকে মাফ করে দাও...
ছেলে- এখানে মাফ করার কি আছে?
- স্টপ! স্টপ ইট!
ওপাশ থেকে চিৎকার করে ওঠে সে । সেই সাথে শোনা গেলো কান্নার আওয়াজ... প্রতিহিংসা কমিয়ে ছেলেটি শান্তভাবে বললো,
"এমন করলা কেন আমার সাথে? আমার খুব সুন্দর একটা জীবন ছিলো,
কেন নিজ হাতে নস্ট করে দিয়ে গেলা?
কাঁদতে কাঁদতে সে অনেক কথা বলে,
ছেলেটা জিজ্ঞেস করলো
-তোমার টাকাওয়ালা হাজব্যন্ডকে নিয়ে এখন কেমন আছো?
মেয়েটি উত্তরে বলল
- সে সড়ক দুর্ঘটনায় ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ২ তারিখে মারা গেছে...
অভিমানী প্রেমিকের সব দম্ভ নিমেষেই চুরমার হয়ে গেল। শুধু বললো,
- "তুমি কোথায় এখন? দেখা করো প্লিজ... এই মুহুর্তে..."
অনেকদিন পর দেখা হল। সিলেটের 'লাংথুরাই' চাইনিজ রেস্টুরেন্টে। টেবিলের ওপাশে বসা মেয়েটা বড্ড অচেনা লাগছে। ঠোট থেকে মুছে গেছে সব স্পর্শের ছাপ। সাবেক প্রেমিকার দিকে তাকিয়ে বললো,
ছেলে- তারপর এখন ফিউচার প্লান কী?
মেয়ে- জানি না।
ছেলে- বিয়ে শাদী করে ফেলো একটা।
মেয়ে- হুম।
ছেলে- তুমি আমাকে নিয়ে আবার কোনো স্বপ্ন দেখছো না তো?
মেয়েটি খুব অসহায়ের মত তার দিকে তাকালো।
সে বুঝতে পেরে বললো,
ছেলে- কি অদ্ভুত। আমার কোনো লাইফ নেই? তুমি কি ভেবেছো সারাজীবন ওয়েট করবো তোমার জন্য?
মেয়ে- :ওও। আমি সরি।
উঠে দাড়ালো । চোখে জল টলমল করছে। ঘুরে দরজার দিকে পা বাড়ালো। মেয়েরা এভাবেই কান্না লুকোয়। যার জন্য কান্না, তাকে দেখায় না, কিন্তু পৃথিবীবাসীকে দেখায়।মি.লি. মেয়েরা আর কিছুই চায়না, শুধু ভরসার হাতই তাদের ছাওয়া,
চোখের জলের কি মায়াবী অপচয়! পেছন থেকে হাতটা টেনে ধরলো ছেলেটি। হাসিমুখে বললো,
- "এই রেস্টুরেন্টের পোলাও এ লবন অনেক কম। দেখি, কয়েক ফোটা চোখের পানি দিয়ে যাও। চোখের পানি ও লবনাক্ত।"
মেয়েটা কেঁদে ফেললো ।
- "এত কাঁদো ক্যান? অবশ্য ভালোই হইছে। আমাদের সংসারে লবন কিনতে হবে না। তোমার চোখের পানিতেই রান্না হয়ে যাবে
সব ঠিকঠাক, হঠাৎ একদিন মেয়েটি জানালো, "আমি রিলেশনটা কনটিনিউ করতে পারবো না। আমি সিরিয়াস।"
ছেলেটি খুব অবাক হয়ে মোবাইলের দিকে তাকালো। প্রায় ৬ মাস পর সেই নাম্বার থেকে কল। মোবাইলের স্ক্রীনে খুব সুন্দর করে লেখা jaaan calling... ৭ বছর আগে তার সাথে মেয়েটির ব্রেকআপ হয়ে যায়।
No comments