বাচ্চা পোালাপান আর শয়তানের গল্প
সময়টা শীতকাল। চারপাশে ধান কাটার হিরিক পরে গেছে। কৃষক পাড়ায় কারও দম ফেলার সময় নাই। শুকনো মৌসুম, তাই ধান মাড়াই এর পর ধানের আঁটি গুলা খুলে খড় গুলা ধান ক্ষতেই ছরিয়ে দেয়া হয়েছে।
ছয় জন বাচ্চা পোলাপান সেই ধান এর খড় এর উপর দৌড়া দৌড়ি করে খেলতে ছিলো। তাদের ঠিক পাশেই ছিল ছোট একটা বিল। শীত মৌসুম থাকায় সেটা প্রায় শুকিয়েই গেছে। বেশ কিছুটা দূরে এক পাল শয়তান বসা ছিল। তারা বেশ মনযোগ দিয়ে বাচ্চাদের খেলা দেখছিল আর হাসা হাসি করছিলো। তো হঠাৎ এক শয়তান বলে উঠলো, চল! আজ বাচ্চা পোলাপান গুলার সাথে শয়তানি করা যাক। কিন্তু কেউ তাতে রাজি হলো না। অবশেষ ওই শয়তান নিজেই শয়তানি করতে ঘোড়ার রুপ ধরে বাচ্চা গুলার সাথে খেলা শুরু করে দিলো।
এমন একটা ঘোড়া পেয়ে বাচ্চা গুলা খুশিতে লাফালাফি শুরু করে দেয়। শয়তান রুপে ঘোড়াটা নিজেও তাদের সাথে লাফাচ্ছে। বেশ অনেক সময় ধরে খেলার পর তাদের মধ্যে থেকে তিন জন কোন মতে ঘোড়ার পিঠে উঠে বসলো। আর বাকি তিনজন কোন ভাবেই ঘোড়ার পিঠে উঠতে পারলো না। কারন একে তো জায়গা নাই তার উপর যারা ঘোড়ার পিঠে উঠে বসেছে তারা কোন ভাবেই তাদের উঠতে দিচ্ছে না।
শয়তানও মনে মনে বেশ খুশি। কারন সে তার শয়তানি দিয়ে ছয় জনকে দুই দলে ভাগ করে দিয়েছে। তাদের মধ্যে হিংসা, ক্রোধ এর জন্ম দিতে পেরেছে। এখন মারামারি পর্যন্ত যেতে পারলেই তার শয়তানি সফল হবে।
শয়তান মনের আনন্দে তাদের তিন জনকে নিয়ে টকবক টকবক করে লাফিয়ে লাফিয়ে চারপাশে ঘুরছে। আর অন্য দিকে বাকি তিনজন ধান এর খড় গুলা দিয়ে প্যাঁচিয়ে এক হাত লম্বা বেশ মোটা একটা দড়ি বানিয়ে ফেলছে।
ঘোড়ার উপর উঠতে না পারার বিরক্তিতে এক সময় বাচ্চা তিনটা মোটা সেই দড়িটা শয়তান এর রুপধারী ঘোড়ার পাছার ভিতরে ঢুকুয়ে দিল। আর তারপরই দড়ির এক মাথায় আগুন লাগিয়ে দেয়। অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই ধেই ধেই করে শুকনো ধানের খড়ের দড়িতে আগুন জ্বলতে শুরু করে।
আগুনের মাত্রা অতিরিক্ত হওয়ায় তাপ সহ্য করতে না পেরে বেচারা শয়তান সব গুলারে ফেলে রেখে ঝেড়ে মারলো এক দৌড়। দৌড়তে দৌড়াতে বিলের পানিতে দিয়ে পাছা ডুবুয়ে বসে থেকে কোন মতে নিজের শেষ রক্ষা করে।
আর এই ঘটনার পর থেকে শয়তানরা স্বিদ্ধান্ত নেয় তারা আর কোন দিন বাচ্চা পোলাপান এর কাছে গিয়ে শয়তানি করবে না। যা করবে দূর থেকে। আর এভাবেই শয়তান বাচ্চা পোলাপানদের কাছে শয়তানিতে হার মেনে যায়।
ছয় জন বাচ্চা পোলাপান সেই ধান এর খড় এর উপর দৌড়া দৌড়ি করে খেলতে ছিলো। তাদের ঠিক পাশেই ছিল ছোট একটা বিল। শীত মৌসুম থাকায় সেটা প্রায় শুকিয়েই গেছে। বেশ কিছুটা দূরে এক পাল শয়তান বসা ছিল। তারা বেশ মনযোগ দিয়ে বাচ্চাদের খেলা দেখছিল আর হাসা হাসি করছিলো। তো হঠাৎ এক শয়তান বলে উঠলো, চল! আজ বাচ্চা পোলাপান গুলার সাথে শয়তানি করা যাক। কিন্তু কেউ তাতে রাজি হলো না। অবশেষ ওই শয়তান নিজেই শয়তানি করতে ঘোড়ার রুপ ধরে বাচ্চা গুলার সাথে খেলা শুরু করে দিলো।
এমন একটা ঘোড়া পেয়ে বাচ্চা গুলা খুশিতে লাফালাফি শুরু করে দেয়। শয়তান রুপে ঘোড়াটা নিজেও তাদের সাথে লাফাচ্ছে। বেশ অনেক সময় ধরে খেলার পর তাদের মধ্যে থেকে তিন জন কোন মতে ঘোড়ার পিঠে উঠে বসলো। আর বাকি তিনজন কোন ভাবেই ঘোড়ার পিঠে উঠতে পারলো না। কারন একে তো জায়গা নাই তার উপর যারা ঘোড়ার পিঠে উঠে বসেছে তারা কোন ভাবেই তাদের উঠতে দিচ্ছে না।
শয়তানও মনে মনে বেশ খুশি। কারন সে তার শয়তানি দিয়ে ছয় জনকে দুই দলে ভাগ করে দিয়েছে। তাদের মধ্যে হিংসা, ক্রোধ এর জন্ম দিতে পেরেছে। এখন মারামারি পর্যন্ত যেতে পারলেই তার শয়তানি সফল হবে।
শয়তান মনের আনন্দে তাদের তিন জনকে নিয়ে টকবক টকবক করে লাফিয়ে লাফিয়ে চারপাশে ঘুরছে। আর অন্য দিকে বাকি তিনজন ধান এর খড় গুলা দিয়ে প্যাঁচিয়ে এক হাত লম্বা বেশ মোটা একটা দড়ি বানিয়ে ফেলছে।
ঘোড়ার উপর উঠতে না পারার বিরক্তিতে এক সময় বাচ্চা তিনটা মোটা সেই দড়িটা শয়তান এর রুপধারী ঘোড়ার পাছার ভিতরে ঢুকুয়ে দিল। আর তারপরই দড়ির এক মাথায় আগুন লাগিয়ে দেয়। অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই ধেই ধেই করে শুকনো ধানের খড়ের দড়িতে আগুন জ্বলতে শুরু করে।
আগুনের মাত্রা অতিরিক্ত হওয়ায় তাপ সহ্য করতে না পেরে বেচারা শয়তান সব গুলারে ফেলে রেখে ঝেড়ে মারলো এক দৌড়। দৌড়তে দৌড়াতে বিলের পানিতে দিয়ে পাছা ডুবুয়ে বসে থেকে কোন মতে নিজের শেষ রক্ষা করে।
আর এই ঘটনার পর থেকে শয়তানরা স্বিদ্ধান্ত নেয় তারা আর কোন দিন বাচ্চা পোলাপান এর কাছে গিয়ে শয়তানি করবে না। যা করবে দূর থেকে। আর এভাবেই শয়তান বাচ্চা পোলাপানদের কাছে শয়তানিতে হার মেনে যায়।
No comments