Header Ads

স্প্যশাল দিন

পাখির খিচির মিচির ডাকে ঘুম ভাঙে নয়নের । আজ কেন জানি তার কাছে সকাল টা অন্য রকম মনে হলো। একটু পর দেখে হিরা বের হলো গোসল করে। বের হয়ে মিটি মিটি হাসতে লাগলো । তা দেখে নয়ের সন্দেহ হলো। বুঝতে পারলো আজকে স্প্যশাল কিছু একটা হইতো আছে কিন্তু নয়ন কোনো মতো মনে করতে পারছে না।ভাবছে কি করা যাই। জিজ্ঞাসা করবে সেটাও করতে পারছে না। কারণ যদি কোনো স্প্যশাল দিন ভুলে যাই হিরা অবস্থা খারাপ করে ফেলবে। ওর জন্মদিনের কথা ভুলে গেছিলো দেখে হিরা নয়নকে দুই ঘন্টা কান ধরে দাড়াই করে রাখছিলো। নয়ন খুব রাগী ছেলে। কিন্তু হিরা যা বলে সে তাই মেনে নেই। কারন সে হিরা কে খুব ভালোবাসে।
:- কি হলো উঠবে না মনে হয় আজকে??
ভাবনাই ছেদ ঘটিয়ে নয়ন বললো
:- উঠতে ইচ্ছে করছে না (নয়ন)
:-বিছনা ভিজিয়েছি অনেক দেরি হয়ে গেছে মনে হয়?? (হিরা)
:- তুমি খালি ভয় লাগাও কেন আমাকে??
:- তুমি উঠবে? রাগী লুক দিয়ে
:- বউউউউ ( আল্লাদি সুরে )
:- একটু অপেক্ষা কর বাবু
:- এই তো উঠে গেছি ( ভয় পেয়ে লাফ দিয়ে উঠে যায়)
:- এই তো লক্ষি বাবু
:- হুম ।তুমি আমাকে একটুও ভালোবাসো না(মন খারাপ করে)
:- ওমা..... আমাল বড় টা বুঝি লাগ কলেছে?
:- এহহহ .... আসছে ভালোবাসা দেখাতে।
:- ঘুম থেকে না উঠলে অফিসে কি আমি যাবো গো??
:- আজকে যাবো না অফিসে।
:- যাও তাড়াতাড়ি গোসল করে আসো।যাও ( সেই পরিমান রেগে)
হিরার রাগ দেখে নয়ন ভয়ে বাথরুমে চলে যায় দৌড়ে। হিরা সামান্য হেসে রান্না করতে চলে যায়।
ওরা হচ্ছে নয়ন আর হিরা স্বামী স্ত্রী। পারিবারিক ভাবেই বিয়ে হয় তাদের। নয়নের মা বাবা , বড় আপু ছোট ভাই হিরা এই পাচঁ জনের সংসার। বিয়ের পর হাসি খুশি ,খুনসুটি তেই জীবন চলে তাদের।
নয়ন একটি ছোটখাটো কোম্পানি তে চাকরি করে। ভালো বেতনও পায়।অন্যদিকে হিরা পড়ালিখা শেষ করে বিয়ের আগে চাকরি করার ইচ্ছে থাকলেও বিয়ের পর শশুর বাড়ির ভালোবাসা দেখে আর করে নি চাকরি। কারণ তার স্বামী তাকে অনেক ভালোবাসে।
নয়ন গোসল করতে করতে ভাবে তাদের ভালোবাসার কথা ।কতটাই না ভালোবাসে মেয়েটা তাকে। তার সব দিকে খেয়াল রাখে।
নিজেকে খুব সৌভাগ্য মান মনে হয় এই রকম একটা বউ পেয়ে।
গোসল করে নয়ন রান্না ঘরে যায় দেখে হিরা গুনগুন গান করে রান্না করছে। নয়ন এখনো ভেবে পায় না কি কারণে হিরা আজকে খুশি।
নয়ন আন্তাজে হিরা কে জিজ্ঞাসা করে
:- বউ আজকে কোথাও ঘুরতে যাবো চলো?
:- কেন গো?
:- এ.. এ.. এ.. এমনি বললাম আর কি( নয়ন কি বলবে ভেবে পায় না ভেবেছিলো কিছু হিন্স পাবে)
:- যাও নাস্তা করে অফিসে যাও
:- ওকে
এরপর নাস্তা করে নয়ন অফিসে চলে যায়। কিন্তু কোনো কাজে মন বসাতে পারে না।
হঠাৎ দেখে হিরার মেসেজ।
:- আজকে তাড়াতাড়ি বাসাই এসো। সারপ্রাইজ আছে।
নয়ন ভেবে কুল পায় না আজকে এমন কি আছে......
সে বস থেকে ছুটি নিয়ে তাড়াতাড়ি বাসাই চলে আসে। বাসাই এসে দরজা খোলার সাথে হিরা জড়াই ধরে।
নয়ন অভাক হলো খুব।
:- হিরা ... কি হলো? ?আগে তো বাসাই আসতে দাও।
:- নাহ ছাড়বো না। আমাকে কোলে করে রুমে নিয়ে যাবে।
নয়ন আর কিছু না বলে কুলে তুলে নেয়। রুমে গিয়ে দেখে খুব সুন্দর করে সাজানো। কোল থেকে নামানোর সাথে সাথে আবার জোড়ে জড়াই ধরে নয়নকে। নয়ন বলে
:- আহহ হিরা ব্যথা পাচ্ছি তো ...
:- এখন তো আমি একা যখন আমরা দুইজন মিলে একসাথে তোমাকে জড়াই ধরবো তখন কি করবে বাপু???
এই কথা শুনার পর হিরা ভেবেছিলো নয়ন খুব খুশি হবে কিন্তু নয়নের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা। ঠিক এই কথা টিই বলেছিল সাবিহা তাকে।
নয়ন হিরা থেকে দুরে সরে যায়। হিরা তো অভাক।
হিরার শেষের কথা টি নয়নের কানে বাজতেছিল বার বার।
:-এখন তো আমি একা যখন আমরা দুইজন মিলে একসাথে তোমাকে জড়াই ধরবো তখন কি করবে বাপু???
এখন তো আমি একা যখন আমরা দুইজন মিলে একসাথে তোমাকে জড়াই ধরবো তখন কি করবে বাপু???
নয়ন অনেক চেষ্টা করে স্বাভাবিক হতে পারে না। সব সময় কথা টি তার কানে বাজে।
নয়নের আস্তে আস্তে ভয় ডুকে যায়। সে ভাবে হিরা যদি তাকে ছেড়ে চলে যায় তাহলে সে কিভাবে থাকবে। এই ভয় নয়নকে প্রতিটা সময় জ্বালায়
খাওয়ার সময় নয়নের কানে সাবিহার কথা টি বাজতে থাকে। ঘুমানো সময় সাবিহা কে স্বপ্ন দেখে ভয়ে ঘুম থেকে উঠে যায়। অফিসের কাজ করার সময় কথা টি কানে বাজতে থাকে।
নয়ন শান্তি মতো কিছুই করতে পারে না। তার এ অবস্থার জন্য অফিস থেকে বের করে দেয় নয়নকে।
হিরা বুঝতে পারে না কি করবে। নয়নকে জিজ্ঞাসা করলেও কিছু বলে না কেমন পাগল টাইপ আচরন করে।
মাঝে মাঝে হঠাৎ হিরা কে জড়িয়ে ধরে জিজ্ঞাসা করে
:- হিরা হিরা হিরা তুমি আমাকে কখনো ছেড়ে যাবে না তো?
একদিন হঠাৎ রাতে নয়নের ভয়ে ঘুম ভেঙে গেলে হিরা জিজ্ঞাসা করে
;- কি হয়েছে??
:- সাবিহা সাবিহা ( ভয়ে ভয়ে)
:- কোন সাবিহা? কে?
:- কিছু না কিছু না ঘুমাও
হিরা ও আর কিছু বলে না।
নয়নের এই অবস্থার জন্য নয়নের পুরা পরিবার চিন্তিত।
হিরাকে মাঝে মধ্যে নয়ন তার বন্ধু আবিদের কথা বলতো। হিরা আকিব জিজ্ঞাসা করার পর হিরা বুঝতে পারলো সব কিছু।
৮ বছর আগে ভার্সিটির ১ম বর্ষে ছিলো নয়ন আর আবিদ দুই বন্ধু। দুই জনের বন্ধুত্ব সেই স্কুল জীবন থেকেই ।
এক সাথে ক্লাস করতো, ঘুরাফিরা সব একসাথেই ছিলো। তারা উৎশৃঙ্খল টাইপের ছিলো পুরা ডিপারমেন্ট কে মাতিয়ে রাখতো। মারামারি, হইহুল্লার, কোনো অনুষ্ঠানে নাচানাচি এগুলো সবই করতো।
আবিদ নয়ন এরা কোথাও না গেলে জমতো না কিছু।
আবিদে স্কুল জীবন থেকে রিলেশন করলেও নয়ন করতে পারে নি এখনো। কারণ ওর কাউকেই ভালো লাগতো না।
আবিদের গফ তানিশা সেইম ডিপার্মেন্টেই পড়তো।
একদিন ভার্সিটি তে নয়ন দেখে এক পরীর আগমন। যাকে দেখে সে প্রতি মুহুর্তে ক্রাশ। হারিয়ে যায় কল্পনায়। ওর বন্ধুরা সব হা করে তাকাই আছে ওর দিকে।
:- এই নয়ন..... আবিদ কে দেখছোস? ( তানিশা)
:- ( নয়ন তো কল্পনার মধ্যে)
:- এইইইইই.. নয়ন(রাগ করে)
:- ওই কে রে?? ( ভয় পেয়ে)
:- আবিদ কই?
:- মরে গেছে। ডিস্টার্ব করিস না আমি আমার রাজকুমারী পেয়ে গেছি।দুর হ
:- সররর আবাল(রেগে )
এদিকে মেয়েটাকে দেখে নয়ন তো শেষ। সেই দেখার পর থেকে ওর পেছন পেছন ঘুরছে।সবাই তো হা.
মেয়ে টা কে থুক্কু পরী টা কে কয়েক হাই দেয় এবং কথা বলার চেস্টা করে কিন্তু মেয়েটা কোনো পাত্তাই দেয় না
তানিশা দুর দেখতেছে কান্ডকারখানা।
নয়ন দেখে তানিশার সাথে খুব সুন্দর হেসে হেসে কথা বলতেছে পরী না। কি যে সুন্দর হাসি টা।
ভাবে এর জন্য জন্য আগে ভাবীকে (তানিশা) কে পটাতে হবে..আস্তে আস্তে তানিশার পাশে গিয়ে...
:- আমার কিউট ভাবী টা কেমন আছে?
:- (চুপ)
:- কি হলো??
:- তুমি তো ভাই রাজকুমারী পাইছো আমরা আর কি করবো? তোমাকে ডিস্টার্ব না করি।
:- সকালের গুলো তুলতেছে ( বিড় বিড় করে)
:- নয়ন ডিস্টার্ব ফিল করেতেছে। চলো অন্য কোথাও গিয়ে বসি।
:- ভাবী ভাবী ভাবী ( আল্বাদি সুরে)
:- ওর নাম সাবিহা। আমার কাজিন। বেড়াতে আসছে। হা হা হা
:- yoooo ভাবী,, তুমি যদি আমাকে হেল্প না করো কে হেল্প করবে বলো???
:- দরদ ন দেহা। ( এটা বলে আবিদ আর তানিশা জোরে হেসে উঠে)
নয়ন বোকা হয়ে বসে ছিল।
এরপর থেকে নয়ন সাবিহা দের বাসার সামনে দাড়ায় থাকতো। তানিশা ও জোর করতো। কয়দিন পড়ে আর না পেরে সাবিহা নয়নকে একসেপ্ট করে নেয়।
খুব ভালোই ছিলো তাদের রিলেশন। সব সময় টেইক কেয়ার করতো। সাবিহা কখনো রাগ করলে নয়ন রাগ ভাঙানো জন্য উথাল পাতাল হয়ে যেত। রাতে ফোনে.."
:- বাবু.. কি করো? ( সাবিহা)
:- এইতো তোমার ফোনের অপেক্ষা ( নয়ন)
:- ডিনার হলো?
:-তোমার সাথে কথা না বলে কখনো করছি?
:- কেন এত ভালোবাসো আমাকে?
:- জানি না।
:- যাও খেয়ে নাও
:- ওকে
সকালে ফোন দিয়ে নয়ন কে তুলে দিবে ..
:- হে..... লো ( ঘুমে ঘুমে)
:- এখনো ঘুমাচ্ছো তুমি??? যাও ব্রেক আপ ( রেগে)
:- এই এই কি বলো কে ঘুমাচ্ছে? ( বকা খেয়ে ঘুম উধাও)
:- কে আবার তুমি. ?
:- আমি তো উঠছি অনেক আগে। হইতো নেট দিস্টার্ব।
:- উঠছো?? তাই??? ঠিক আছে তাহলে দশ মিনিটের মধ্যে ভার্সিটি আসবা।
:- ওকে ।
এটা বলেই দৌড় দেয় নয়ন। ফ্রেশ হয়ে ভার্সিটি যায়।
এই খুশির মধ্যে চলে তাদের রিলেশন। দুজন দুজনকে খুব ভালোবাসতো।
একজনকে ছাড়া অন্যজনের একমুহুর্ত চলতো না। কবে বিয়ে করবে ছেলে মেয়ের নাম কি হবে সব ঠিক করে রাখছিলো।
একদিন হঠাৎ কথার ছলে নয়ন সাবিহা কে রুম ডেইটের কথা বলে
:- জানু কেমন আছো? ( নয়ন)
:- ভালো, , তুমি?? (সাবিহা)
:- খাইছো??
:- হুমম তুমি??
:- হুমম,,আচ্ছা বাবু চলো আমরা কোথাও দেখা করি
:- এখন তো আমরা একাই আছি
:- ওইটা না বাবু,, যেখানে শুধু আমি আর তুমি থাকবো, আর কেউ না।।
:- বাবু কয়দিন পরই তো আমরা বিয়ে করছি এখন এগুলোর কি দরকার??(বুঝতে পেরে)
:- ( মুখ গুমরা করে অন্য দিকে ফিরে থাকে)
এরপর সাবিহা পড়ে জানাবে বলে চলে যায়...।
প্রথনে রাজি না হলেও পরে নয়নের জোরাজোরি তে রাজি হয়।
একদিন চলে যায় লিটনের ফ্ল্যাটে।
এরপর থেকে তারা প্রায়ই যেত লিটনের ফ্ল্যাটে। আস্তে আস্তে কমতে থাকে নয়নের ভালোবাসা বেড়ে যায় অবহেলা।
সামান্য কিছু নিয়ে ভীষন রাগারাগি করতো নয়ন। ভার্সিটিতে কারও সাথে মিশতে দিতো না একসময় সাবিহার সব ফ্রেন্ডই হারাই যায়।
সে সব সহ্য করতো শুধু নয়নের কারনে।
এর তিন মাস পর সাবিহা তার মধ্যে তৃতীয় ব্যাক্তির উপস্থিতি বুঝতে পারে...
পরদিন নয়নকে দেখা করতে বলে...
নয়ন আসতেই দৌড়ে সাবিহার উপর ঝেঁপে পড়ে। খুব জোরে জড়াই ধরে।
:- আহহ ব্যথা পাচ্ছি তো এত জোরে জড়াই ধরলা কেন?( নয়ন)
:- এখন আমি একা যখন আমরা দুইজন একসাথে তোমাকে জড়াই ধরবো তখন কি করবা??
:- মানে???
:- (সাবিহা নয়নের হাত ধরে পেটে লাগায়)
:- (নয়ন তো চুপ )
:- বাবু আমরা বিয়ে করছি কবে???
:- করবো তো। কিন্তু একটু টাইম লাগবে আমরা এইবারের টা না নিই...
:- তোমার এখন পড়াশুনা শেষ আমরা বিয়ে করলে সমস্যা কি?? আর এটা তো আমাদেরই সন্তান
:- নিব না বলছি নিব না কথা শেষ( রেগে)
:- আমি মা হয়ে সন্তানকে কি ভাবে মেরে ফেলবো?
:- তাহলে তুমি থাকো তোমার সন্তান নিয়ে আজকেই আমাদের ব্রেক আপ।
:- (সাবিহা নয়নের পায়ে ধরে মিনতি করে)
:- তুমি যদি বাচ্চা নষ্ট না করো আমাদের ব্রেক আপ
এটা বলে চলে যায় নয়ন
:- সাবিহার কান্না সেদিন নয়নের মন গলাতে পারে নি...
আশে পাশের সব মানুষ দেখছিলো। সাবিহা অনেক্ষন কান্না করে বাসাই চলে যায়।
অনেক ভেবে নয়নকে হারানোর ভয়ে বাচ্চা নষ্ট করে সে।
ওই খবর শুনে নয়ন আবার সাবিহা কে লিটনের ফ্ল্যাটে যেতে বলে।
কিন্তু সেইবার রাজি না হওয়াতে বিশ্রি গালি গালাজ করে চলে যায় নয়ন।
সাবিহা সেদিন নয়নকে কিছুই বলতে পারে নি চিৎকার করে কেদেঁছিলো সারা রাত তার সাথে কেদেঁ ছিলো আকাশও।
শেষ রাতে ছাদে ভিজেছিল বৃস্টিতে।
আর কিছুই করতে পারে নি সে। নয়ন তার সাথে সব রকম যোগাযোগ অফ করে দেয়।
এতক্ষন হিরা শুনছে নয়নের আগের কাহিনী।ভাবছে সে মানুষ এত খারাপ হয় কি ভাবে । কখনো ভাবতে পারে নি সে এইরকম কাজ করতে পারে তার বর। ভাবতেই ঘৃণা হয় তার।
সিদ্ধান্ত নেয় যে সে নয়নকে ডিবোর্স দিবে।
রাত করে বাসাই যায় সেদিন। নয়ন জিজ্ঞাসা করছিলো :-দেরি কেন হলো ??
:- (চুপ)
:- এইইইইই(ধরতে চেয়ে)
:- এই কুত্তা তুই আমাকে টাচ করবি না(প্রচন্ড রেগে)
:- কি হইছে এমন করতেছো কেন?
:- তুই আমার কিসের স্বামী??
চিৎকার শুনে বাসার সবাই চলে আসে
:- কি হলো মা? (নয়নের মা)
:- কি হলো ওইটা আপনার ছেলেকে জিজ্ঞাসা করেন ... লুইচ্চা লম্পট একটা(হিরা)
:- কি হলো আমাকে তো বলো? (নয়ন)
:- সাবিহা কি দোষ করছিলো?? (হিরা রেগে)
কথা টা শুনে নয়নের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। আর কিছুই বলতে পারে না সে, দাড়ানো থেকে পড়ে যায় শ্বাস নিতে খুব কস্ট হচ্ছে।হিরা সেদিকে মন না দিয়ে চলে যায়।
দুই দিন পরেই সে দুরের এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি নেয় এবং চলে যায়। নয়নের এখন মনে হতে থাকে সে বাবা ডাক শুনতে পাবে না। সন্তান টা কি জিনিস। নয়ন হিরা ফিরে আসার জন্য বলে অনেক পায়েও ধরে কিন্তু অপমানিত হয়ে ফিরে আসে প্রত্যেকবার। এক সময় নয়নের উপর মানষিক ভাবে খুব চাপ পড়ে।
নয়ন ভাবে সাবিহা কে পাওয়া টাও কল্পনার বাইরে ছিলো
হিরার মতো বউ পাওয়াটাও ছিলো কল্পনার বাইরে
হিরা ছেড়ে যাবে সেটাও কল্পনার বাইরে ছিলো
সামনে কি হবে যেটা তার কল্পনার বাইরে???
আজ নয়ন পাবনা মেন্টাল হসপিটালে 420 নাম্বার বেডে পড়ে থাকে......খেলা করে একটা বাচ্চা পুতুলের সাথে।

No comments

Powered by Blogger.