মৃত্যুক্ষুধা
কার্তিকের এমন শীতের রজনীতে নদীর তীরে বসে রাত্রিজাগরণ করছিলাম। মুক্ত
বিমল শান্ত পরিবেশ; একরাশ মোলায়েম বাতাসের অবগাহনে আংশিক প্রফুল্ল এ
ব্যথিতপ্রায় তনুমন। প্রকৃতি তখন নিঝুম; রাত্রি মগ্ন ঘুম, তন্ময় হয়ে বসে
আঁকাবাঁকা নদীর সাথে জীবনের তাল মিলাচ্ছিলাম! অনুভব করছিলাম ভবিষ্যৎ।
'হুমায়ূন আহমেদ স্যার' তার "মোটিভেশন" গ্রন্থে আমার সম্পর্কে ভবিষ্যৎ রচনা
করে গিয়েছিলেন। সেখানে লেখা ছিলো আমার ভবিষ্যৎ হবে কুয়াশার মত ঝাপসা,
রাতের আঁধারের মত বিদঘুটে অন্ধকার থাকবে চারিপাশে। তবে সেখানে আরো লেখা
ছিলো ভবিষ্যৎ আমার জন্য কোন বাধা নয়, আমার ভবিষ্যৎ আমি নিজেই তৈরি করতে
পারবো। সেখানে এটাও লেখা ছিলো যে, হিমাদ্রি নামের এক চপল তরুণীর আগমনে
পদচারণ ঘটবে বিষণ্ণতার; হয়েছেও ঠিক তাই। তবে কষ্টের বিজারকে জারক বানাতে
পারেনি, আবার পেরেছেও। হিমাদ্রির কথা গুলো মনে পড়তেই হতাশার মায়াজালে
চোখগুলো হয়ে আসে বন্ধ। অন্ধ চোখে দেখি না কিছু, ক্ষণিকেরর জন্য ভাষাগুলো
হয়ে যায় স্তব্ধ। তবে ভয় নেই, ডর নেই। সঙ্গী আছে,
সঙ্গী হিসাবে আছে এক পুড়িয়া গাঁজা আর বেগম রোকেয়া সাখাওতের দেয়া নকিয়া ১১০০ মডেলের বিখ্যাত ফোনটি। আর নিত্যসঙ্গী হিসাবে তো একাকিত্ব আছেই। তবে ওসব আমার কাছে তাচ্ছিল্য। নিঃসঙ্গ,দুঃখ,কষ্ট,ক্লেশের স্থান আমার কাছে নেই। কারণ, নিজেকে আমি মহাপুরুষ দাবি করি। তবে বাস্তবতকে উপলব্ধি করার স্বার্থে মাঝেমাঝে নিজ দায়িত্বে ডেকে নেই তাদেরকে।
.
এক্টু পর আবিষ্কার করলাম ফোন কাঁপছে। হাহাহা কি আশ্চর্য? এই শীতে আমি কাঁপছি না অথচ ফোন কাঁপছে।
স্ক্রিনে চোখ পড়তেই চোখ উল্টা কথা বলল, আসলে এটা আম্মুর ফোন ছিলো। কিন্তু কথামালা সুরগুলো হারিয়ে গেল দুই স্লোট বিশিষ্ট ফোনের তিন নাম্বার স্লোটে ফোন আসা দেখে। আমি আরো হতভম্ব হলাম নকিয়া ১১০০ মডেলের ফোনে আম্মুর ফোন থেকে ভিডিও কল আসতে দেখে।
কি অবাক হলেন?
অবাক হওয়ার কিছু নেই। রবীন্দ্রনাথ চাচা বহুবছর আগে (২০৪৫ সালে) তার "ঘরোয়া" উপন্যাসে এই ঘটনাটি উপস্থাপন করেছিলেন; আজ তার বাস্তবায়ন হলো। যাকগে আগে ফোনটা পিক করি:-
.
আমি:-হ্যালো আম্মু!
আম্মু:-প্রণয় কই তুই?
-এইতো আংশিক চর জাগানো নদীর হালকা স্রোতের পানি অতীত কে লোমকূপের মধ্য দিয়ে মনোরাজ্য আবির্ভূত করে সব স্মৃতি ভুলিয়ে দিয়ে যাচ্ছে, সব নিয়ে যাচ্ছে দূর অজানায়। আর আমি এমন তারাশূন্য রাতে এসবের নিরব দর্শক হিসাবে সাক্ষী হয়ে আছি।
-হইছে অফ যা, শীত করেনি?
-শীত আমার কাছে ছন্দহাড়া জানোনা তুমি?
-হ বুজছি, হিমাদ্রির স্মৃতি কুঁড়োচ্ছো আজ তোকে। এজন্যই সারারাত কেটে যায়, তোর মন ভেসে যায় অনাকাঙ্ক্ষিত অতীতের সাগরে।
-আম্মুহ্, পোড়া মন বারবার হয় না দহন।
-শোন, তোর সাথে কথাতে পেরে ওঠার স্বাধ্য নিয়ে আমি জন্মাইনি। তোর মত বাচাল জন্মাইছি। বাসায় আয় তাড়াতাড়ি; তোর আব্বু বসে আছে একসাথে খাবো।
-সিদ্ধি টানছি, সিদ্ধিটা শেষ করেই আসছি।
-আচ্ছা, অন্য আরেকটা সিদ্ধি যেন আবার না ধরাতে হয়!
-যথাআজ্ঞা আম্মুনি।
.
ল্যাম্পপোস্টের আলোতে মেঠোপথে শহরের ওলি গলি পেরিয়ে বাসার দিকে যাচ্ছি। বিরক্তিকর এই ল্যাম্পপোস্ট! বিজ্ঞানের কারণে আজ রাতের প্রকৃত সৌন্দর্যও দৃষ্টির ফ্রেমে বন্দী হতে পারে না। রাস্তা হতে ছোট একটা ইটের টুকরো কুড়িয়ে জোড়ছে মেরে দিলাম ল্যাম্পপোস্ট বরাবর; কিন্তু শরীর জুড়ে সিদ্ধির প্রভাব বিস্তারের কারণে তা লক্ষ্যচ্যুত হয়ে কোন এক বাসার গ্লাসে লাগল। অমনি দে ছুট।
তবে চিন্তালোক আজ চিন্তিত। আব্বু নামক অসহ্য প্রাণীটাও নাকি আজ আমার জন্য খাবার নিয়ে বসে আছে। হাহা!
.
বাসায় এসে দেখি ঘুমে মগ্ন সবাই। আমিও কাঁথা মুড়িয়ে মরার মত ঘুমিয়ে পরলাম।
একটু পর আ্যলার্ম বেজে উঠল; মানে সকাল হয়ে গেছে। বরাবরের মত আজকেও বিরক্তিকর আ্যলার্ম ঘরিটাকে এক আছাড়ে ভেঙ্গে দিলাম। এটা জেনারেল স্টেটমেন্ট সরি আমার মত আমি পৃথিবীজুড়ে একটাই আছে সো এটাকে আমি পার্সোনাল স্টেটমেন্ট বলেই অভিহিত করে থাকি। এর স্পেসিফিক ক্ল্যাসিফিকশনও হওয়া দরকার। যাহোক, দক্ষিণা জানালার অন্তরালে গ্লাসের ফাঁকে সূর্য্যরশ্মি আজকেও নিয়ম ছাড়াই আমার ঘরে প্রবেশ করেছে। সূর্যের এমন অনিয়মতান্ত্রিক চলাচল নিউরনে ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলছে। না এর বিহিত করতে হবে; তার আগে ফুসফুস টাকে ক্যান্সারের দিকে ধাবিত করার কাজ করতে হবে। বিড়ি লাগানো দরকার এখন। পকেটে হাত দিতেই একটা আকিজ বিড়ি পেলাম, কিন্তু লাগানোর সুযোগ পেলাম না। আমার দরজা বরাবর আব্বু মহাশয় পত্রিকা পড়ছেন। এমতাবস্থায় বিড়ি লাগালে কপালে শনির আচর পরবে। তবে মৃত্যুক্ষুধাও নাছোড়বান্দা। আব্বুর আড়ালে গিয়ে হলেও সিগারেট তার চাই চাই।
.
দরজার বাহিরে পা না রাখতেই তিন গাড়ি পুলিশ হাজির, সাথে হিমাদ্রির বাবাও। নিবার্ক নয়নে উদাস দৃষ্টিতে তাহাদের দিকে তাকালাম। হ্যাঁ, তারা আমার নিকটেই ছুটে আসছে। তার পিছনে আব্বুকেও দেখতে পারছি। তার মানে আব্বু কি নিজেই আজ পুলিশ ডেকেছে? না, এখন আর ভাবার সময় নেই। পিছনের দরজা দিয়ে দৌড়িয়ে বের হয়ে আমি তাদের গাড়িতে গিয়ে উঠে বসলাম। উনারা বাকরুদ্ধ হয়ে আমার পানে তাকালো। হ্যাঁ, উনারা চারবছর পর হিমাদ্রির আসামিকে খুঁজে পেয়েছে। আমিই হিমাদ্রির খুনি। ভালোলাগার মানুষ কে ভালো রেখে আমি অস্বস্তিতে থাকতে পারতাম না। আমিই গলা টিপে মেরে দিয়েছিলাম হিমাদ্রিকে। তবে শুনুন আসল ঘটনা:-
.
আমি,হিমাদ্রি আর শুভ্র ছিলাম ক্লাসমেট সাথে বাল্যকালের বন্ধুও বটে। আমি বাল্যবন্ধু হিমাদ্রিকে যৌবনের সঙ্গী করতে চেয়েছিলাম। ভালোবাসার প্রার্থনাতে বৃদ্ধ হতে চেয়েছিলাম তার সাথে। কিন্তু বিধিবাম! আশার কপালে গুড়েবালি দিয়ে সে হতে চলেছিলো শুভ্রের; নিল আকাশের নিচে শুভ্রের সাথে শুভ্র হিমাদ্র ঘটাতো সে। এ নিয়তির করুণ পরিহাসে তিনের কেন্দ্রবিন্দুতে ইতি রেখা টানতে চলেছিলো আমার সাজানো স্বপ্নের। 'হুমায়ন স্যারে'র মতে পৃথিবীতে তিন সর্বশক্তিমান। তবে আমার কাছে হিমাদ্রি ও শুভ্র এই দুই'কেই শক্তিমান মনে হতো। আমার কল্পনালোক কে মাটি চাপা দিয়ে তারা ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছিলো। যা আমাকে বর্বর করে তুলেছিলো। মেরে দিয়েছিলাম আমি হিমাদ্রি কে। আর শুভ্রের লাশ সাগরে ভেসে দিয়েছি।
.
এই কথা গুলো আমি জেলের কাঠগড়ায় দাড়িয়ে এসআই আসলাম কে বলছিলাম।
প্রথমের দিকে আমার ফাঁসি হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু আজ ভিপি শাহিন বলে গেল আমার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করার রায় বহাল করা হয়েছে [সমাপ্ত]
লেখা:→Shariar Mahmud Tanzim
সঙ্গী হিসাবে আছে এক পুড়িয়া গাঁজা আর বেগম রোকেয়া সাখাওতের দেয়া নকিয়া ১১০০ মডেলের বিখ্যাত ফোনটি। আর নিত্যসঙ্গী হিসাবে তো একাকিত্ব আছেই। তবে ওসব আমার কাছে তাচ্ছিল্য। নিঃসঙ্গ,দুঃখ,কষ্ট,ক্লেশের স্থান আমার কাছে নেই। কারণ, নিজেকে আমি মহাপুরুষ দাবি করি। তবে বাস্তবতকে উপলব্ধি করার স্বার্থে মাঝেমাঝে নিজ দায়িত্বে ডেকে নেই তাদেরকে।
.
এক্টু পর আবিষ্কার করলাম ফোন কাঁপছে। হাহাহা কি আশ্চর্য? এই শীতে আমি কাঁপছি না অথচ ফোন কাঁপছে।
স্ক্রিনে চোখ পড়তেই চোখ উল্টা কথা বলল, আসলে এটা আম্মুর ফোন ছিলো। কিন্তু কথামালা সুরগুলো হারিয়ে গেল দুই স্লোট বিশিষ্ট ফোনের তিন নাম্বার স্লোটে ফোন আসা দেখে। আমি আরো হতভম্ব হলাম নকিয়া ১১০০ মডেলের ফোনে আম্মুর ফোন থেকে ভিডিও কল আসতে দেখে।
কি অবাক হলেন?
অবাক হওয়ার কিছু নেই। রবীন্দ্রনাথ চাচা বহুবছর আগে (২০৪৫ সালে) তার "ঘরোয়া" উপন্যাসে এই ঘটনাটি উপস্থাপন করেছিলেন; আজ তার বাস্তবায়ন হলো। যাকগে আগে ফোনটা পিক করি:-
.
আমি:-হ্যালো আম্মু!
আম্মু:-প্রণয় কই তুই?
-এইতো আংশিক চর জাগানো নদীর হালকা স্রোতের পানি অতীত কে লোমকূপের মধ্য দিয়ে মনোরাজ্য আবির্ভূত করে সব স্মৃতি ভুলিয়ে দিয়ে যাচ্ছে, সব নিয়ে যাচ্ছে দূর অজানায়। আর আমি এমন তারাশূন্য রাতে এসবের নিরব দর্শক হিসাবে সাক্ষী হয়ে আছি।
-হইছে অফ যা, শীত করেনি?
-শীত আমার কাছে ছন্দহাড়া জানোনা তুমি?
-হ বুজছি, হিমাদ্রির স্মৃতি কুঁড়োচ্ছো আজ তোকে। এজন্যই সারারাত কেটে যায়, তোর মন ভেসে যায় অনাকাঙ্ক্ষিত অতীতের সাগরে।
-আম্মুহ্, পোড়া মন বারবার হয় না দহন।
-শোন, তোর সাথে কথাতে পেরে ওঠার স্বাধ্য নিয়ে আমি জন্মাইনি। তোর মত বাচাল জন্মাইছি। বাসায় আয় তাড়াতাড়ি; তোর আব্বু বসে আছে একসাথে খাবো।
-সিদ্ধি টানছি, সিদ্ধিটা শেষ করেই আসছি।
-আচ্ছা, অন্য আরেকটা সিদ্ধি যেন আবার না ধরাতে হয়!
-যথাআজ্ঞা আম্মুনি।
.
ল্যাম্পপোস্টের আলোতে মেঠোপথে শহরের ওলি গলি পেরিয়ে বাসার দিকে যাচ্ছি। বিরক্তিকর এই ল্যাম্পপোস্ট! বিজ্ঞানের কারণে আজ রাতের প্রকৃত সৌন্দর্যও দৃষ্টির ফ্রেমে বন্দী হতে পারে না। রাস্তা হতে ছোট একটা ইটের টুকরো কুড়িয়ে জোড়ছে মেরে দিলাম ল্যাম্পপোস্ট বরাবর; কিন্তু শরীর জুড়ে সিদ্ধির প্রভাব বিস্তারের কারণে তা লক্ষ্যচ্যুত হয়ে কোন এক বাসার গ্লাসে লাগল। অমনি দে ছুট।
তবে চিন্তালোক আজ চিন্তিত। আব্বু নামক অসহ্য প্রাণীটাও নাকি আজ আমার জন্য খাবার নিয়ে বসে আছে। হাহা!
.
বাসায় এসে দেখি ঘুমে মগ্ন সবাই। আমিও কাঁথা মুড়িয়ে মরার মত ঘুমিয়ে পরলাম।
একটু পর আ্যলার্ম বেজে উঠল; মানে সকাল হয়ে গেছে। বরাবরের মত আজকেও বিরক্তিকর আ্যলার্ম ঘরিটাকে এক আছাড়ে ভেঙ্গে দিলাম। এটা জেনারেল স্টেটমেন্ট সরি আমার মত আমি পৃথিবীজুড়ে একটাই আছে সো এটাকে আমি পার্সোনাল স্টেটমেন্ট বলেই অভিহিত করে থাকি। এর স্পেসিফিক ক্ল্যাসিফিকশনও হওয়া দরকার। যাহোক, দক্ষিণা জানালার অন্তরালে গ্লাসের ফাঁকে সূর্য্যরশ্মি আজকেও নিয়ম ছাড়াই আমার ঘরে প্রবেশ করেছে। সূর্যের এমন অনিয়মতান্ত্রিক চলাচল নিউরনে ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলছে। না এর বিহিত করতে হবে; তার আগে ফুসফুস টাকে ক্যান্সারের দিকে ধাবিত করার কাজ করতে হবে। বিড়ি লাগানো দরকার এখন। পকেটে হাত দিতেই একটা আকিজ বিড়ি পেলাম, কিন্তু লাগানোর সুযোগ পেলাম না। আমার দরজা বরাবর আব্বু মহাশয় পত্রিকা পড়ছেন। এমতাবস্থায় বিড়ি লাগালে কপালে শনির আচর পরবে। তবে মৃত্যুক্ষুধাও নাছোড়বান্দা। আব্বুর আড়ালে গিয়ে হলেও সিগারেট তার চাই চাই।
.
দরজার বাহিরে পা না রাখতেই তিন গাড়ি পুলিশ হাজির, সাথে হিমাদ্রির বাবাও। নিবার্ক নয়নে উদাস দৃষ্টিতে তাহাদের দিকে তাকালাম। হ্যাঁ, তারা আমার নিকটেই ছুটে আসছে। তার পিছনে আব্বুকেও দেখতে পারছি। তার মানে আব্বু কি নিজেই আজ পুলিশ ডেকেছে? না, এখন আর ভাবার সময় নেই। পিছনের দরজা দিয়ে দৌড়িয়ে বের হয়ে আমি তাদের গাড়িতে গিয়ে উঠে বসলাম। উনারা বাকরুদ্ধ হয়ে আমার পানে তাকালো। হ্যাঁ, উনারা চারবছর পর হিমাদ্রির আসামিকে খুঁজে পেয়েছে। আমিই হিমাদ্রির খুনি। ভালোলাগার মানুষ কে ভালো রেখে আমি অস্বস্তিতে থাকতে পারতাম না। আমিই গলা টিপে মেরে দিয়েছিলাম হিমাদ্রিকে। তবে শুনুন আসল ঘটনা:-
.
আমি,হিমাদ্রি আর শুভ্র ছিলাম ক্লাসমেট সাথে বাল্যকালের বন্ধুও বটে। আমি বাল্যবন্ধু হিমাদ্রিকে যৌবনের সঙ্গী করতে চেয়েছিলাম। ভালোবাসার প্রার্থনাতে বৃদ্ধ হতে চেয়েছিলাম তার সাথে। কিন্তু বিধিবাম! আশার কপালে গুড়েবালি দিয়ে সে হতে চলেছিলো শুভ্রের; নিল আকাশের নিচে শুভ্রের সাথে শুভ্র হিমাদ্র ঘটাতো সে। এ নিয়তির করুণ পরিহাসে তিনের কেন্দ্রবিন্দুতে ইতি রেখা টানতে চলেছিলো আমার সাজানো স্বপ্নের। 'হুমায়ন স্যারে'র মতে পৃথিবীতে তিন সর্বশক্তিমান। তবে আমার কাছে হিমাদ্রি ও শুভ্র এই দুই'কেই শক্তিমান মনে হতো। আমার কল্পনালোক কে মাটি চাপা দিয়ে তারা ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছিলো। যা আমাকে বর্বর করে তুলেছিলো। মেরে দিয়েছিলাম আমি হিমাদ্রি কে। আর শুভ্রের লাশ সাগরে ভেসে দিয়েছি।
.
এই কথা গুলো আমি জেলের কাঠগড়ায় দাড়িয়ে এসআই আসলাম কে বলছিলাম।
প্রথমের দিকে আমার ফাঁসি হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু আজ ভিপি শাহিন বলে গেল আমার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করার রায় বহাল করা হয়েছে [সমাপ্ত]
লেখা:→Shariar Mahmud Tanzim
No comments