অদ্ভুত নাম 'ইউলোম্যান' আর 'নীলিমা'র পরিচয়
প্রতিদিনকার মত আজও আমি রেলস্টেশনে অনেক মানুষের ভিড়ে কোনো এক চায়ের দোকানে বসে চা আর সিগারেট টানছি।তবে আজ এখানে আসার আরও একটা কারণ রয়েছে।
আমি আবার পাগলা লেখক।আজে বাজে গল্প লিখাই আমার কাজ,তো এই বাজে লেখকের গল্প পড়তে পড়তে একজন আমার পাগলা ভক্ত হয়ে যায়।আজ নাকি সে আমাদের শহরে আসছে কি একটা কাজে।আমার সাথে দেখা না করে নাকি যাবেই না। ওই তো ট্রেন এসে গেছে।যাই কথা মত ওভার ব্রিজের উপরে গিয়ে দাড়াই।আমার পড়নে নীলিমার দেওয়া লাল শার্ট আর কাল ঘড়িটা দেখে
আমায় ঠিক চিনে নিবে।অবশ্য আজ নীলিমার দেওয়া কাপড় পড়ারও একটা অন্য কারণ আছে।
থাক কিছু মৌহ অজানা থাকাই ভাল।
ব্রিজের রেলিং দিয়ে নিচের জনবহুল দেখছি,
পেছন থেকে কয়েকজন খুব জোড়ে চিৎকার দিয়ে উঠল
"Happy Birthday To You Dear Writer,
Happy Birthday To You Meharab Hasan."
চোখ ভিজে গেল আমার।আজ ১৫ই আগস্ট,আমার জন্মদিন। কিন্তু গত ২ বছর ধরে আমার জন্মদিনে আমায় কেউ উইশ করেনি।
আগে নীলিমা এভাবে সারপ্রাইজ দিত আমায়।
যুবক দল একটি কেক আমার সামনে এনে দিল,
কেকটিতে লিখা
"শুভ জন্মদিন ইউলো ম্যান"
কেক প্রোগ্রাম শেষ করে তাদেরকে আমার প্রিয় যায়গাটাতে নিয়ে গেলাম।
এবার সবাই গোল হয়ে বসে আছি।নীরবতা ভেঙে আমি বললাম:
আমি: কি অদ্ভুত,তোমাদের কারো পরিচয়টাই ত আমার জানা হল না।
আসুক:ভাইয়া আমি পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি,
আপনার বা পাশে আমি।আমাকে তো চেনেনই,আর ও হচ্ছে ইসতিয়া আমার ফ্রেন্ড।আর আপনার ডানে একজন লিপি আর আরমান।
আমি :মানে "আসুক,ইসতিয়া,লি পি,আরমান"
বাহ সবার নামই তো চমৎকার।
ইসতিয়া:ভাইয়া আসুক আপনার ব্যাপারে অনেক কিছু বলেছে।আজকে কিন্তু আপনাকে ছাড়ছি না,
আমাদের অনেক কৌতুহল জমে আছে।তার মধ্যে ২ টা না জানলেই নয়।
আমি: আচ্ছা আচ্ছা,সব বলব।১ম টা বল?
আরমান:আপনার ইউলো ম্যান নামের লুকায়িত অতীত?
আমি:হুম,গুপ্ত খাচায় হাত দিয়ে দিলে?
আচ্ছা শোন তাহলে?
সবার মত আমারও একটা সুন্দর পরিবার ছিল।কিন্তু একটু ভিন্ন।মিথ্যের মত শোনালেও এটা সত্যি যে,মা-বাবা থেকে শুরু করে পুরো পরিবার থেকে পেতাম শুধু অবহেলা।কারণ হিসেবে জানতে পেরেছিলাম আমি তাদের পালক সন্তান।নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে চলে আসি এই শহরে।অনেক দিন ধরেই এ শহরে।অনেক বন্ধুও হয় আমার।কিন্তু যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে না পারায় বন্ধু মহলেও আমার মুল্য একদম নেই বললেই চলে।
এই থেকেই এই নাম।
লিপি: ঘটনার সাথে এই নামের কি সম্পর্ক?
আমি:তোমাদের মধ্যে কেউ মটর সাইকেল বা গাড়ি চালাও?
আসুক:জ্বি ভাইয়া আমার মোটরসাইকেল আছে।
আমি:রাস্তার সিগনাল ল্যাম্পপোস্ট গুলো দেখ নিশ্চই ?লাল, সবুজ, হলুদ?
লালে থামা,সবুজে চলা,হলুদেরটা জানা নেই।
আসলে ওই হলুদ বাতির ইতি কথা কেউই জানতে চায় না।কি বলছে সে?সবুজ আর লাল বাতির জনপ্রিয়তায় চরম অবহেলায় আছে সে।
হলুদের ইংরেজি হল ইউলো এর থেকেই আমার ছদ্ম নাম ইউলো ম্যান।
যুবকদল:WoW!!
আমি:এবার তোমাদের ২ নং প্রশ্নের পালা,
ইসতিয়া:নায়িকা নীলিমার পরিচয়?
আমি:এবার ত একদম হীরের খনিতে হাত?
আচ্ছা কোনো ব্যাপার শুনে নাও।আসলে
আমার গল্পের সংখা যতই বাড়ছে ঠিক একই পরিমাণে প্রায় সকল অতীত গল্পের নায়িকা নীলিমাকে নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।সবার মনে একই প্রশ্ন,কে এই নীলিমা।নীলিমার পরিচয় নিয়ে একটি গল্প লিখব ভাবছিলাম।তোমারদ েরই আগে বলি?
প্রথমে একটা কাজ করা যাক,
নীলিমা নামটিকে ২ ভাগ করে,নীলিমা=নীল/ লিমা
করে দিলাম।
তাহলে শুনে নাও এই নীলিমার আত্মকাহিনী
.আমার পাড়ায় একজন স্মার্ট মধ্যবয়সী লোক আছেন,বয়েস ৩৫ এর উপরে হলেও এখনও বিয়ে করেন নি।
.আমার বন্ধু মহলে একটা ছেলে আছে যাকে আমরা প্লে বয় ডাকতে খুব পছন্দ করি।
.আমার বাড়ির দারোয়ান কর্মে নিয়োজিত একজন দাদা ছিল আমার,আমাদের বেশ ভাল আড্ডা জমত।কিন্তু বেচারা কিছুদিন হল মৃত্যুর স্বাদ নিয়েছে।
.আমার এক বান্ধুবি আছে অয়িন্তিকা নামে।তাকে খুব অপছন্দ করি আমি,কেননা নিজের সৌন্দর্য বিলিয়ে কোটি-পতি ছেলেদের টাকা হাতানোই যেন তার রুটিন।
.আমার দূরসম্পর্কের একটি আত্মিয়ের পরিবারের কথা আমি জানি,তাদের একটি মেয়ে আছে,সে খুবই ধর্ম ভক্ত।প্রতিরাতে ঘুমুবার আগে পবিত্র কোরআন পাঠ করে সে।
.আর আমি আমার কথা জানি আমার অন্তরাতে আমি আছি,প্রত্যেকবার নিয়ম করে দুপুরের উত্তপ্ত আকাশে আর মাঝরাতের উজ্জ্বল তারাগুলোর ভিড়ে,আমি অনুজ্জ্বল হওয়ায়,পড়ে থাকি অবহেলায়,অন্য আরেক তারার খোঁজে।
যুবকদল:ভাইয়া কিছুই বুঝতে পারলাম না!
আমরা ত নীলামকে চিনতে চেয়েছিলাম?
আমি:হুম বলছি তো ,শোন?
.৩৫ বছরের স্মার্ট লোকটি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ নিজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে কোনো এক নীলিমাকে বিয়ে করবেন।বাস্তবতা আজও তাকে তিনি হতে দেন নি!
লোকটি গ্রীষ্মের উত্তপ্ত দুপুরের আকাশের দিকে তাকায়,বলে নীলিমা!!!
.আমার প্লে-বয় বন্ধুটি সুন্দরী কন্যাদের শরীর নিয়ে মজা নিতে নিতে একদিন ক্লান্ত হয়ে পরে।
সেও এই উত্তপ্ত দুপুরের আকাশকে ছেড়ে দেয় না।
মুখ উচু করে চেয়েই থাকে,আর প্রতিজ্ঞ হয়।
নাহ আর কত?এবারেরটাকে আমি আমার নীলিমার স্থান দিব।
.আমার মৃত্যু স্বাদ নেওয়া দাদার ও একটা নীলিমা ছিল,অকাল মৃত্যু হয়েছিল তার নীলিমার,সেও তাকায় উত্তপ্ত আকাশে,তার মনটা বলে উঠে নীলিমা'য়ায়া.... ভালো আছতো তুমি?
.বান্ধুবী অয়িন্তিকাও টাকাওয়ালা খোঁজতে খোঁজতে একদিন অপমান বোধ করে!
একদিন সে রাতের আকাশে তাকায়,চাঁদনী মাকে স্রেফ জানিয়ে দেয় সে,বাবার চিকিৎসা টা করাতে পারলেই ব্যাস।তারপর সেও কোনো এক নীলের হাত ধরবে।অশ্রুতে ভিজিয়ে দেবে নীলের শার্ট।
.হত দরিদ্র পরিবারের,অবহেলি ত ধর্মভক্ত মেয়েটিও
পবিত্র কোরআন পাঠ করে রাতের আকাশে তাকায়,সেও চাঁদনী মাকে ছেড়ে কথা বলে না।
চাঁদনী মাকে রেগে চোখ লাল করে বলে সে, তার নীলকে যেন আরও তাড়াতাড়ি পাঠায়।
আমি: তোমরা কিছু বলছ না যে?
লিপি: ভাইয়া, আপনারটা বললেন না?
আমি: হুম,শোন।
আমারও একটা নীলিমা আছে।
এই লাল শার্ট আর কালো ঘড়িটা তারই উপহার।
২ বছর আগেই সে শেষ বিদায় নিয়ে নেয়।
আমিও সবার মত গ্রীষ্মের উত্তপ্ত আকাশ আর রাতের চাঁদনী মাকে ছেড়ে কথা বলি না।ওর জন্য
প্রতিদিন শত শত প্রার্থনা জমা দেই তাদের কছে।
সন্ধার পশ্চিম আকাশে ওই উজ্জ্বল তারাটাকে খেয়াল করেছ?ওটাই নীলিমা,আমার নীলিমা।
২ বছর হল মায়ার এই পৃথিবী ও ত্যাগ করেছে।
★লেখক Meharab Hasan
এর বাস্তব জীবনে কোনো নীলিমার অস্তিত্ব নেই।এটি শুধোই একটি কাল্পনিক নাম মাত্র।
আমি আবার পাগলা লেখক।আজে বাজে গল্প লিখাই আমার কাজ,তো এই বাজে লেখকের গল্প পড়তে পড়তে একজন আমার পাগলা ভক্ত হয়ে যায়।আজ নাকি সে আমাদের শহরে আসছে কি একটা কাজে।আমার সাথে দেখা না করে নাকি যাবেই না। ওই তো ট্রেন এসে গেছে।যাই কথা মত ওভার ব্রিজের উপরে গিয়ে দাড়াই।আমার পড়নে নীলিমার দেওয়া লাল শার্ট আর কাল ঘড়িটা দেখে
আমায় ঠিক চিনে নিবে।অবশ্য আজ নীলিমার দেওয়া কাপড় পড়ারও একটা অন্য কারণ আছে।
থাক কিছু মৌহ অজানা থাকাই ভাল।
ব্রিজের রেলিং দিয়ে নিচের জনবহুল দেখছি,
পেছন থেকে কয়েকজন খুব জোড়ে চিৎকার দিয়ে উঠল
"Happy Birthday To You Dear Writer,
Happy Birthday To You Meharab Hasan."
চোখ ভিজে গেল আমার।আজ ১৫ই আগস্ট,আমার জন্মদিন। কিন্তু গত ২ বছর ধরে আমার জন্মদিনে আমায় কেউ উইশ করেনি।
আগে নীলিমা এভাবে সারপ্রাইজ দিত আমায়।
যুবক দল একটি কেক আমার সামনে এনে দিল,
কেকটিতে লিখা
"শুভ জন্মদিন ইউলো ম্যান"
কেক প্রোগ্রাম শেষ করে তাদেরকে আমার প্রিয় যায়গাটাতে নিয়ে গেলাম।
এবার সবাই গোল হয়ে বসে আছি।নীরবতা ভেঙে আমি বললাম:
আমি: কি অদ্ভুত,তোমাদের কারো পরিচয়টাই ত আমার জানা হল না।
আসুক:ভাইয়া আমি পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি,
আপনার বা পাশে আমি।আমাকে তো চেনেনই,আর ও হচ্ছে ইসতিয়া আমার ফ্রেন্ড।আর আপনার ডানে একজন লিপি আর আরমান।
আমি :মানে "আসুক,ইসতিয়া,লি
বাহ সবার নামই তো চমৎকার।
ইসতিয়া:ভাইয়া আসুক আপনার ব্যাপারে অনেক কিছু বলেছে।আজকে কিন্তু আপনাকে ছাড়ছি না,
আমাদের অনেক কৌতুহল জমে আছে।তার মধ্যে ২ টা না জানলেই নয়।
আমি: আচ্ছা আচ্ছা,সব বলব।১ম টা বল?
আরমান:আপনার ইউলো ম্যান নামের লুকায়িত অতীত?
আমি:হুম,গুপ্ত খাচায় হাত দিয়ে দিলে?
আচ্ছা শোন তাহলে?
সবার মত আমারও একটা সুন্দর পরিবার ছিল।কিন্তু একটু ভিন্ন।মিথ্যের মত শোনালেও এটা সত্যি যে,মা-বাবা থেকে শুরু করে পুরো পরিবার থেকে পেতাম শুধু অবহেলা।কারণ হিসেবে জানতে পেরেছিলাম আমি তাদের পালক সন্তান।নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে চলে আসি এই শহরে।অনেক দিন ধরেই এ শহরে।অনেক বন্ধুও হয় আমার।কিন্তু যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে না পারায় বন্ধু মহলেও আমার মুল্য একদম নেই বললেই চলে।
এই থেকেই এই নাম।
লিপি: ঘটনার সাথে এই নামের কি সম্পর্ক?
আমি:তোমাদের মধ্যে কেউ মটর সাইকেল বা গাড়ি চালাও?
আসুক:জ্বি ভাইয়া আমার মোটরসাইকেল আছে।
আমি:রাস্তার সিগনাল ল্যাম্পপোস্ট গুলো দেখ নিশ্চই ?লাল, সবুজ, হলুদ?
লালে থামা,সবুজে চলা,হলুদেরটা জানা নেই।
আসলে ওই হলুদ বাতির ইতি কথা কেউই জানতে চায় না।কি বলছে সে?সবুজ আর লাল বাতির জনপ্রিয়তায় চরম অবহেলায় আছে সে।
হলুদের ইংরেজি হল ইউলো এর থেকেই আমার ছদ্ম নাম ইউলো ম্যান।
যুবকদল:WoW!!
আমি:এবার তোমাদের ২ নং প্রশ্নের পালা,
ইসতিয়া:নায়িকা নীলিমার পরিচয়?
আমি:এবার ত একদম হীরের খনিতে হাত?
আচ্ছা কোনো ব্যাপার শুনে নাও।আসলে
আমার গল্পের সংখা যতই বাড়ছে ঠিক একই পরিমাণে প্রায় সকল অতীত গল্পের নায়িকা নীলিমাকে নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।সবার মনে একই প্রশ্ন,কে এই নীলিমা।নীলিমার পরিচয় নিয়ে একটি গল্প লিখব ভাবছিলাম।তোমারদ
প্রথমে একটা কাজ করা যাক,
নীলিমা নামটিকে ২ ভাগ করে,নীলিমা=নীল/
করে দিলাম।
তাহলে শুনে নাও এই নীলিমার আত্মকাহিনী
.আমার পাড়ায় একজন স্মার্ট মধ্যবয়সী লোক আছেন,বয়েস ৩৫ এর উপরে হলেও এখনও বিয়ে করেন নি।
.আমার বন্ধু মহলে একটা ছেলে আছে যাকে আমরা প্লে বয় ডাকতে খুব পছন্দ করি।
.আমার বাড়ির দারোয়ান কর্মে নিয়োজিত একজন দাদা ছিল আমার,আমাদের বেশ ভাল আড্ডা জমত।কিন্তু বেচারা কিছুদিন হল মৃত্যুর স্বাদ নিয়েছে।
.আমার এক বান্ধুবি আছে অয়িন্তিকা নামে।তাকে খুব অপছন্দ করি আমি,কেননা নিজের সৌন্দর্য বিলিয়ে কোটি-পতি ছেলেদের টাকা হাতানোই যেন তার রুটিন।
.আমার দূরসম্পর্কের একটি আত্মিয়ের পরিবারের কথা আমি জানি,তাদের একটি মেয়ে আছে,সে খুবই ধর্ম ভক্ত।প্রতিরাতে ঘুমুবার আগে পবিত্র কোরআন পাঠ করে সে।
.আর আমি আমার কথা জানি আমার অন্তরাতে আমি আছি,প্রত্যেকবার
যুবকদল:ভাইয়া কিছুই বুঝতে পারলাম না!
আমরা ত নীলামকে চিনতে চেয়েছিলাম?
আমি:হুম বলছি তো ,শোন?
.৩৫ বছরের স্মার্ট লোকটি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ নিজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে কোনো এক নীলিমাকে বিয়ে করবেন।বাস্তবতা আজও তাকে তিনি হতে দেন নি!
লোকটি গ্রীষ্মের উত্তপ্ত দুপুরের আকাশের দিকে তাকায়,বলে নীলিমা!!!
.আমার প্লে-বয় বন্ধুটি সুন্দরী কন্যাদের শরীর নিয়ে মজা নিতে নিতে একদিন ক্লান্ত হয়ে পরে।
সেও এই উত্তপ্ত দুপুরের আকাশকে ছেড়ে দেয় না।
মুখ উচু করে চেয়েই থাকে,আর প্রতিজ্ঞ হয়।
নাহ আর কত?এবারেরটাকে আমি আমার নীলিমার স্থান দিব।
.আমার মৃত্যু স্বাদ নেওয়া দাদার ও একটা নীলিমা ছিল,অকাল মৃত্যু হয়েছিল তার নীলিমার,সেও তাকায় উত্তপ্ত আকাশে,তার মনটা বলে উঠে নীলিমা'য়ায়া....
.বান্ধুবী অয়িন্তিকাও টাকাওয়ালা খোঁজতে খোঁজতে একদিন অপমান বোধ করে!
একদিন সে রাতের আকাশে তাকায়,চাঁদনী মাকে স্রেফ জানিয়ে দেয় সে,বাবার চিকিৎসা টা করাতে পারলেই ব্যাস।তারপর সেও কোনো এক নীলের হাত ধরবে।অশ্রুতে ভিজিয়ে দেবে নীলের শার্ট।
.হত দরিদ্র পরিবারের,অবহেলি
পবিত্র কোরআন পাঠ করে রাতের আকাশে তাকায়,সেও চাঁদনী মাকে ছেড়ে কথা বলে না।
চাঁদনী মাকে রেগে চোখ লাল করে বলে সে, তার নীলকে যেন আরও তাড়াতাড়ি পাঠায়।
আমি: তোমরা কিছু বলছ না যে?
লিপি: ভাইয়া, আপনারটা বললেন না?
আমি: হুম,শোন।
আমারও একটা নীলিমা আছে।
এই লাল শার্ট আর কালো ঘড়িটা তারই উপহার।
২ বছর আগেই সে শেষ বিদায় নিয়ে নেয়।
আমিও সবার মত গ্রীষ্মের উত্তপ্ত আকাশ আর রাতের চাঁদনী মাকে ছেড়ে কথা বলি না।ওর জন্য
প্রতিদিন শত শত প্রার্থনা জমা দেই তাদের কছে।
সন্ধার পশ্চিম আকাশে ওই উজ্জ্বল তারাটাকে খেয়াল করেছ?ওটাই নীলিমা,আমার নীলিমা।
২ বছর হল মায়ার এই পৃথিবী ও ত্যাগ করেছে।
★লেখক Meharab Hasan
এর বাস্তব জীবনে কোনো নীলিমার অস্তিত্ব নেই।এটি শুধোই একটি কাল্পনিক নাম মাত্র।
No comments