হঠাৎ ব্জ্রপাত
ঘটনাটি আমার দাদির মুখ থেকে শুনা । আমার দাদা বাড়ী হবিগঞ্জ জেলার
চুনারুঘাট থানায় । তখন ছিল রমজান মাস, আমার দাদা আমাদের বড়ি থেকে
কিছু দূরে একটা মসজিদ এ এহতেখাফ এ বসছিলেন। মসজিদটি বেশ দুরেই ছিল,
আশে পাশে তেমন বাড়ি ঘর ছিল না । কারণ আগের দিনে মসজিদ এর সংখা খুব
কম ছিল। এখানে মসজিদটি সর্ম্পকে একটা কথা বলে রাখি, মসজিদটি ছিল
অনেক পুরনো, এটা কখন, কবে তৈরী হয়েছে এটা কেউ জানে না । ধারণা করা
হয় হযরত শাহজালাল (রাঃ) যখন সিলেট পরগনায় আসছিলেন তখন এখানে
কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়েছিলেন তখণ এই মসজিদটি গায়েবি ভাবে তৈরী
হয়েছে । মসজিদটি গায়েবি মসজিদ নামে পরিচিত ।
যাইহোক, ঘটনায় ফিরে আসি... মসজিদ এর পাশেই দক্ষিন দিকে ছিল একটা
পুরোনো ভাঙা কবরস্তান । গ্রামের লোকজন এর আশপাশ দিয়ে খুবই কম যাওয়া
আসা করত। মসজিদ এ দাদা একাই এহতেখাফ এ বসছিলেন। সেদিন তারাবিহ্
এর নামায শেষে সবাই যখন চলে গেল দাদা একা একা মসজিদ এ বসে
প্রতিদিনকার মতো দোয়া-দুরুদ পরতে থাকেন । রাত আনুমানিক ২ টার মত,
তাহাজুত্ নামাজ পড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেলেন, হঠাৎ করে দক্ষিন দিক থেকে
একটা ধমকা বাতাস এসে জানালার পাল্লাটা খুলে দিল এবং সাথে সাথেই
জ্বলতে থাকা কুপিটিও বাতাসে নিভে গেল । যখন দাদা জানালাটি লাগাতে
গেলেন, তখন মসজিদ এর পাশের পুরোনো কবরস্তানটির দিকে চোখ পরল, তিনি
চাদের আলোতে পরিষ্কার দেখতে পেলেন কবরস্তান এ নতুন একটি কবর খোড়া
হচ্ছে এবং কবর এর পাশে খাটিয়ায় একটা লাশ রাখা, লাশের দুই পাশে
অনেক মানুষ । দাদা মনে-মনে ভাবলেন এত রাতে আবার কে মারা গেল আর
মারা গেলেও তো তার জানার কথা, তাই ভাবলেন জানাজায় শরিক হবেন ।
কিন্তু হঠাত তিনি খেয়াল করলেন লাশের পাশে দাঁড়ানো মানুষগুলো কি নিয়ে
যেন তর্ক-বিতর্ক করছে দুটি দলে ভাগ হয়ে। তারপরমূহর্তেই হঠাৎ করে
আকাশে অনেক জোড়ে একটা বজ্রপাত হল এবং আকাশ থেকে একটা লম্বা কালো
হাতের মত কিছু একটা বের হয়ে এসে লাশ টাকে উপরে তুলে নিয়ে আকাশে
সাথে মিলিয়ে গেল । সবকিছুই ঘটে গেল যেন মিনিট এর মাঝে । এটা দেখে
দাদা তারাতারি জানালা বন্ধ করে দিলেন এবং দোয়া-দুরোদ পড়ে রাত পার
করলেন ।
পরের দিন সকালে তিনি কবরস্তান এর যেখানে ঘটনাটি ঘটেছিল সেখানে
গেলেন গিয়ে দেখলেন সবকিছুই স্বাভাবিক, নতুন কোন কবরও খোড়া পেলেন না
এবং কোন অস্বাভাবিক কিছুই চোখে পড়ল না। দাদা কিছুটা চিন্তিত হলেন
ব্যাপারটা নিয়ে। তারপর, তিনি গ্রামের একজন বয়স্ক ব্যক্তির কাছে
ঘটনাটি খুলে বললেন । লোকটি ঘটনাটির যা ব্যখ্যা দিল তার সারমর্ম
এইরকমঃ-
"অনেকদিন আগে এই গ্রামে একটা লোক থাকত, সে খুবই খারাপ প্রকৃতির ছিল,
নামাজ-রোজা কিছুই করত না, বিভিন্ন খারাপ কাজে লিপ্ত থাকত সবসময়,
একদিন লোকটি মারা গেল। তখন গ্রামের কিছুলোক তার জানাযা ও কবর
দেয়ার ব্যবস্তা করতে গেলে গ্রামের আরেকটা দল লোকটাকে এই গ্রামে
জানাযা ও কবর দিতে নিষেধ করল । তাদের মতে লোকটা যেহেতু নামাজ-
রোজা কিছুই পড়ত না তাই তার ইসলামি মতে জানাযা ও কবর দেয়া যাবে না
কিন্তু অন্য দল বলল লোকটা যেহেতু মুসলমান সেহেতু তার জানাযা ও কবর
দেয়া যাবে । এই নিয়ে দুই দলের মাঝে প্রচন্ড বাক-বিতণ্ডা শুরো হয়, এক
পর্যায়ে মারামারির দিখে যেতে থাকে, তকনিই হঠাৎ প্রচণ্ড জুড়ে ব্জ্রপাত
শুরু হয়, চারদিক কালো হয়ে আসে, হঠাৎ বিদ্যুৎ চমকের সাথে আসমান থেকে
একটা কালো মত হাত এসে লোকটার লাশটাকে উপরে তুলে নিয়ে যায় ! এই
ঘটনার পর লোকজন প্রচন্ড ভ্য় পেয়ে সেই স্তান ত্যাগ করে। কিন্তু এই ঘটনা
অনেক দিন আগের এমনকি ঘটনাটি বৃদ্ধ লোকটি শুনেছে তার বাবার মুখ থেকে
অনেকেই এই ব্যাপারে জানে না । বৃদ্ধ লোকটি বেশ অবাক হল ।"
কিন্তু, দাদা কেন সেই ঘটনাটির পুর্নাবৃত্তি দেখলেন তার কোন ব্যখ্যা দিতে
পারেন নাই সেই বৃদ্ধ লোকটি....!
চুনারুঘাট থানায় । তখন ছিল রমজান মাস, আমার দাদা আমাদের বড়ি থেকে
কিছু দূরে একটা মসজিদ এ এহতেখাফ এ বসছিলেন। মসজিদটি বেশ দুরেই ছিল,
আশে পাশে তেমন বাড়ি ঘর ছিল না । কারণ আগের দিনে মসজিদ এর সংখা খুব
কম ছিল। এখানে মসজিদটি সর্ম্পকে একটা কথা বলে রাখি, মসজিদটি ছিল
অনেক পুরনো, এটা কখন, কবে তৈরী হয়েছে এটা কেউ জানে না । ধারণা করা
হয় হযরত শাহজালাল (রাঃ) যখন সিলেট পরগনায় আসছিলেন তখন এখানে
কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়েছিলেন তখণ এই মসজিদটি গায়েবি ভাবে তৈরী
হয়েছে । মসজিদটি গায়েবি মসজিদ নামে পরিচিত ।
যাইহোক, ঘটনায় ফিরে আসি... মসজিদ এর পাশেই দক্ষিন দিকে ছিল একটা
পুরোনো ভাঙা কবরস্তান । গ্রামের লোকজন এর আশপাশ দিয়ে খুবই কম যাওয়া
আসা করত। মসজিদ এ দাদা একাই এহতেখাফ এ বসছিলেন। সেদিন তারাবিহ্
এর নামায শেষে সবাই যখন চলে গেল দাদা একা একা মসজিদ এ বসে
প্রতিদিনকার মতো দোয়া-দুরুদ পরতে থাকেন । রাত আনুমানিক ২ টার মত,
তাহাজুত্ নামাজ পড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেলেন, হঠাৎ করে দক্ষিন দিক থেকে
একটা ধমকা বাতাস এসে জানালার পাল্লাটা খুলে দিল এবং সাথে সাথেই
জ্বলতে থাকা কুপিটিও বাতাসে নিভে গেল । যখন দাদা জানালাটি লাগাতে
গেলেন, তখন মসজিদ এর পাশের পুরোনো কবরস্তানটির দিকে চোখ পরল, তিনি
চাদের আলোতে পরিষ্কার দেখতে পেলেন কবরস্তান এ নতুন একটি কবর খোড়া
হচ্ছে এবং কবর এর পাশে খাটিয়ায় একটা লাশ রাখা, লাশের দুই পাশে
অনেক মানুষ । দাদা মনে-মনে ভাবলেন এত রাতে আবার কে মারা গেল আর
মারা গেলেও তো তার জানার কথা, তাই ভাবলেন জানাজায় শরিক হবেন ।
কিন্তু হঠাত তিনি খেয়াল করলেন লাশের পাশে দাঁড়ানো মানুষগুলো কি নিয়ে
যেন তর্ক-বিতর্ক করছে দুটি দলে ভাগ হয়ে। তারপরমূহর্তেই হঠাৎ করে
আকাশে অনেক জোড়ে একটা বজ্রপাত হল এবং আকাশ থেকে একটা লম্বা কালো
হাতের মত কিছু একটা বের হয়ে এসে লাশ টাকে উপরে তুলে নিয়ে আকাশে
সাথে মিলিয়ে গেল । সবকিছুই ঘটে গেল যেন মিনিট এর মাঝে । এটা দেখে
দাদা তারাতারি জানালা বন্ধ করে দিলেন এবং দোয়া-দুরোদ পড়ে রাত পার
করলেন ।
পরের দিন সকালে তিনি কবরস্তান এর যেখানে ঘটনাটি ঘটেছিল সেখানে
গেলেন গিয়ে দেখলেন সবকিছুই স্বাভাবিক, নতুন কোন কবরও খোড়া পেলেন না
এবং কোন অস্বাভাবিক কিছুই চোখে পড়ল না। দাদা কিছুটা চিন্তিত হলেন
ব্যাপারটা নিয়ে। তারপর, তিনি গ্রামের একজন বয়স্ক ব্যক্তির কাছে
ঘটনাটি খুলে বললেন । লোকটি ঘটনাটির যা ব্যখ্যা দিল তার সারমর্ম
এইরকমঃ-
"অনেকদিন আগে এই গ্রামে একটা লোক থাকত, সে খুবই খারাপ প্রকৃতির ছিল,
নামাজ-রোজা কিছুই করত না, বিভিন্ন খারাপ কাজে লিপ্ত থাকত সবসময়,
একদিন লোকটি মারা গেল। তখন গ্রামের কিছুলোক তার জানাযা ও কবর
দেয়ার ব্যবস্তা করতে গেলে গ্রামের আরেকটা দল লোকটাকে এই গ্রামে
জানাযা ও কবর দিতে নিষেধ করল । তাদের মতে লোকটা যেহেতু নামাজ-
রোজা কিছুই পড়ত না তাই তার ইসলামি মতে জানাযা ও কবর দেয়া যাবে না
কিন্তু অন্য দল বলল লোকটা যেহেতু মুসলমান সেহেতু তার জানাযা ও কবর
দেয়া যাবে । এই নিয়ে দুই দলের মাঝে প্রচন্ড বাক-বিতণ্ডা শুরো হয়, এক
পর্যায়ে মারামারির দিখে যেতে থাকে, তকনিই হঠাৎ প্রচণ্ড জুড়ে ব্জ্রপাত
শুরু হয়, চারদিক কালো হয়ে আসে, হঠাৎ বিদ্যুৎ চমকের সাথে আসমান থেকে
একটা কালো মত হাত এসে লোকটার লাশটাকে উপরে তুলে নিয়ে যায় ! এই
ঘটনার পর লোকজন প্রচন্ড ভ্য় পেয়ে সেই স্তান ত্যাগ করে। কিন্তু এই ঘটনা
অনেক দিন আগের এমনকি ঘটনাটি বৃদ্ধ লোকটি শুনেছে তার বাবার মুখ থেকে
অনেকেই এই ব্যাপারে জানে না । বৃদ্ধ লোকটি বেশ অবাক হল ।"
কিন্তু, দাদা কেন সেই ঘটনাটির পুর্নাবৃত্তি দেখলেন তার কোন ব্যখ্যা দিতে
পারেন নাই সেই বৃদ্ধ লোকটি....!
No comments