আমার তিতলি
"আপনি শেভ করেছেন কেন?"
"কেন, ভাল লাগছে না?"
"মোটেই না। কেমন জানি দেখাচ্ছে।"
.
মেয়েটির এই কথা শুনে আমি আর শেভ করি না।
অযথায় মুখে খোঁচা দাঁড়ি রাখা শুরু করলাম। ফলাফল ভাল
হল না। একদিন অফিসের ডেস্কে বসে
কম্পিউটারে ঘটঘট করতে করতে লক্ষ্য করি
অফিসের বস আমার পাশে ঝুঁকে দাঁড়িয়ে আছেন।
বিব্রত কন্ঠে আমি বলি, "স্যার..!"
তিনি বলেন, "কে, কে সে?"
প্রশ্নের আগামাথা না বুঝে বিচলিত হয়ে পড়ি। তিনি
আবারও বলেন, "কে সেই মেয়ে?"
"জ্বী স্যার?"
তিনি আমার মুখের দিকে আঙুল তুলে বলেন, "যার
জন্য তোমার মুখের এই অবস্থা।"
.
সেদিন খুব লজ্জা পেয়েছিলাম। এই ঘটনার এক
সপ্তাহ পর আবার মেয়েটির সাথে দেখা। বাসস্টপে
দাঁড়িয়ে আছি, হঠাৎ মেয়েটি এসে বলল, "আপনাকে
আজ অন্যরকম দেখাচ্ছে কেন?"
আমি বলি, "অন্যরকম বলতে?"
"কেমন জানি লাগছে।"
"কীরকম?"
"আপনি চুল কেটেছেন, তাই না?"
"জ্বী।"
"এইজন্যই এমন দেখাচ্ছে।"
"ওয়েল.. সবাই তো আর তাহসানের মত স্মার্ট
হবে না, তাই না?"
"এই, এভাবে বলছেন কেন? আমি তো আপনাকে
ইনসাল্ট করে বলিনি।"
.
বাস চলে আসামাত্র বাসে উঠে পড়ি আমি। বাসে ওঠার
মিনিট দশেক পরই মেয়েটি আমার চিন্তা থেকে
উধাও হয়ে যায়। তার কারণ আমাদের অফিসের বস।
জানালার ধারে তিনি বসে ছিলেন। আমি সেটা খেয়াল
না করেই পাশে বসলাম। তিনি যখন বললেন, কেমন
আছো ফাহিম তখন আমি বলি, "জ্বী স্যার ভাল।"
তবে আমার মনে একটা প্রশ্ন খচখচ করছিল, তিনি
কেন বাসে উঠেছেন? এমনই যখন ভাবছি তখন তিনি
ওপরের দিকে তাকিয়ে নিজ থেকেই বললেন,
"সবই তার ইচ্ছা, বুঝলে?"
আমি বলি, "না স্যার, বুঝিনি।"
তিনি না হেসে পারেন না। বলেন, "না বোঝারই কথা,
এখনও তো কিছু এক্সপ্লেইনই করিনি।"
"ও আচ্ছা।"
"আমাকে বাসে দেখে অবাক হওনি?"
"জ্বী স্যার, হয়েছি।"
"বুঝলে, অফিসের বাইরেও আমাদের একটা
জীবন আছে। আর তুমি তো আমার এম্নিতেই
অনেক পরিচিত। তাছাড়া মানুষ মাত্রই সামাজিক জীব।"
আমি চুপ করে শুনে গেলাম, এই প্রস্তাবনা শেষ
করে উনি মূল ঘটনা কখন বলবেন তার অপেক্ষায়
রইলাম। তিনি বললেন, "বুঝলে ফাহিম, আমার এই বাসে
ওঠার কারণ আমার স্ত্রী।"
"কেন স্যার?"
"গতকাল আমাদের ম্যারেজ ডে ছিল, সেই
উপলক্ষে আমার তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরবার কথা, আমি
ফিরেছি রাত একটায়। এই নিয়েই বাকবিতণ্ডা।"
"তারপর?"
"তারপর আর কী? তিনি আমাকে আর গাড়িতে চড়তে
দিলেন না। তার একটাই কথা, বাসে করে যেতে
হবে।"
"আপনিও রাজি হলেন?"
"উপায় নেই ভাই। আমি যে ঘরজামাই।"
কথা শুনে তৎক্ষণাৎ হাসি পেলেও বসের জন্য
একটু মন খারাপ হল। বেচারা।
"তোমাকে একটা ছোট্ট উপদেশ দিই?"
"জ্বী স্যার, অবশ্যই।"
"জীবনে কখনও বিয়ে করবে না।"
.
আমি কিছু বললাম না। হঠাৎ কেন জানি মেয়েটির কথা
মনে পড়ে গেল। তাকে আমি চিনি না, সেও আমায়
চিনে না। প্রায়ই তার সাথে বাসস্টপে দেখা হয়
আমার। অথচ সে বাসের জন্য অপেক্ষা করে না।
তাহলে বাসস্টপে এসে দাঁড়াবার রহস্যটা কী?
.
মেয়েটির সাথে আমার প্রথম দেখা হয় যেদিন
সেদিন সে খুব অদ্ভুত আচরণ করেছিল। শুরুতেই
কাছে এসে বলল, "আপনার কাছে একটা সিগারেট
হবে?"
আমি হাসার চেষ্টা করে বলি, "সরি, আমি নন
স্মোকার।"
"ও আচ্ছা। আমার বয়ফ্রেন্ডের সাথে ব্রেক-আপ
হয়ে গেছে, এজন্যই সিগারেট খেতে চাইছিলাম।"
"ব্রেক-আপ হলে সিগারেট খেতে হয়?"
"না, তা ঠিক নয়। সে চেইন স্মোকার ছিল। আমি
সিগারেট ছাড়তে বলায় সে আমার সাথে ব্রেক-আপ
করেছে। তাই হঠাৎ ইচ্ছে হল জানবার সিগারেটে
এমন কী আছে যেটার জন্য সে আমাকে
ছেড়ে চলে গেল।"
মেয়েটি একটানে কথাগুলো বলে আমার
চোখের দিকে তাকালো। অদ্ভুত সেই
মেয়েটির দৃষ্টিভঙ্গিও ছিল অদ্ভুত। অনেকখানি মায়া
ছিল তাতে। আমি সেই মায়ায় পড়ে গেলাম।
.
এই মায়ায় আমাকে এক নির্মম সত্যির কাছে নিয়ে
গিয়ে দাঁড় করালো। একদিন রঙিন এক শার্ট পরে
বাসস্টপে এসে দাঁড়ালাম। তারপর মেয়েটির জন্য
অপেক্ষা করতে লাগলাম। কিন্তু পরপর দুটি বাস মিস
হওয়া সত্ত্বেও সে এলো না। তিন নম্বর বাসটি
আসামাত্রই সে চলে এলো। আজ তার মুখ বিষণ্ণ
দেখাচ্ছে। আমার দিকে সে তাকিয়ে অল্প হাসার
চেষ্টা করলো, কিন্তু হাসি ফুটলো না। আমি কাছে
এগিয়ে যেতেই সে বলে, "আমার জন্য
অপেক্ষা করছিলেন বুঝি?"
"আমি তোমার সম্পর্কে জানতে চাই।"
"জানলে কষ্ট পাবেন।"
আমি তার কথায় তেমন পাত্তা না দিয়ে রিকশা দাঁড়
করাতে ব্যস্ত হয়ে যাই। তারপর রমনা পার্কে গিয়ে
বসি দুজন। আমি বলি, "এবার বলো তোমার নাম কী?"
"তিতলি।"
"তিতলি, তুমি কি জানো তোমাকে আমার ভাল লাগে?"
তিতলি কিছু না বলে কাঁদতে শুরু করে। আমি বলি,
"কাঁদছ কেন?"
তিতলি জবাব দিলো না।
"আচ্ছা, তোমার কি মনে হয় আমি তোমার যোগ্য
নই?"
"আমি সেটা বলিনি।"
"তাহলে? তুমি কি বিবাহিতা?"
"না।"
"তাহলে আর কী সমস্যা থাকতে পারে?"
সে অশ্রুভেজা চোখে আমার দিকে তাকিয়ে
বলে, "আমি এ জগতের বাসিন্দা নই।"
"মানে?"
"অনেক আগেই আমি মারা গেছি।"
তিতলি এরপর অস্ফুট স্বরে কিছু একটা বলল, আমি
শুনতে পেলাম না। আমি বলি, "কেন মজা করছো?"
"বিশ্বাস না হলে পরীক্ষা করতে পারো। তুমি ছাড়া
এমন কেউ নেই যে আমাকে দেখতে পাবে।"
পাশ দিয়েই একজন হেঁটে চলছিল, তাকেই দাঁড়
করালাম।
"এই যে ভাই... বেঞ্চে বসা মেয়েটিকে
দেখতে পাচ্ছেন?"
লোকটি বেঞ্চের দিকে তাকিয়ে আমার দিকে
এমনভাবে তাকালো যেন আমি পাগল। আরও একটা
লোককে দাঁড় করালাম, সেও কাউকে দেখতে
পেল না। কিন্তু আমি তখনও ব্যাপারটা বিশ্বাস করতে
পারছিলাম না। এভাবে অনেকজনকেই একই প্রশ্ন
করলাম, কারও থেকেই কাঙ্ক্ষিত জবাব পেলাম না।
হতাশ হয়ে বেঞ্চের দিকে ফিরতেই দেখি তিতলি
সেখানে নেই। আমি আশেপাশে সবখানে খুঁজলাম,
হয়রান হয়ে খুঁজলাম। পেলাম না। কয়েকবার নাম ধরে
ডাকলাম, সাড়া দিলো না কেউ।
.
এভাবে বহুদিন গত হল, তিতলিকে আর কোথাও
খুঁজে পেলাম না। জানি না, সে কোথা থেকে
এসেছিল। কেনইবা এসেছিল আমার জীবনে। শুধু
জানি এই কষ্টের দহন থেকে আমার মুক্তি নেই।
...
লেখাঃ ক্ষুদ্র লেখক (টুম্পার বাবু)
"কেন, ভাল লাগছে না?"
"মোটেই না। কেমন জানি দেখাচ্ছে।"
.
মেয়েটির এই কথা শুনে আমি আর শেভ করি না।
অযথায় মুখে খোঁচা দাঁড়ি রাখা শুরু করলাম। ফলাফল ভাল
হল না। একদিন অফিসের ডেস্কে বসে
কম্পিউটারে ঘটঘট করতে করতে লক্ষ্য করি
অফিসের বস আমার পাশে ঝুঁকে দাঁড়িয়ে আছেন।
বিব্রত কন্ঠে আমি বলি, "স্যার..!"
তিনি বলেন, "কে, কে সে?"
প্রশ্নের আগামাথা না বুঝে বিচলিত হয়ে পড়ি। তিনি
আবারও বলেন, "কে সেই মেয়ে?"
"জ্বী স্যার?"
তিনি আমার মুখের দিকে আঙুল তুলে বলেন, "যার
জন্য তোমার মুখের এই অবস্থা।"
.
সেদিন খুব লজ্জা পেয়েছিলাম। এই ঘটনার এক
সপ্তাহ পর আবার মেয়েটির সাথে দেখা। বাসস্টপে
দাঁড়িয়ে আছি, হঠাৎ মেয়েটি এসে বলল, "আপনাকে
আজ অন্যরকম দেখাচ্ছে কেন?"
আমি বলি, "অন্যরকম বলতে?"
"কেমন জানি লাগছে।"
"কীরকম?"
"আপনি চুল কেটেছেন, তাই না?"
"জ্বী।"
"এইজন্যই এমন দেখাচ্ছে।"
"ওয়েল.. সবাই তো আর তাহসানের মত স্মার্ট
হবে না, তাই না?"
"এই, এভাবে বলছেন কেন? আমি তো আপনাকে
ইনসাল্ট করে বলিনি।"
.
বাস চলে আসামাত্র বাসে উঠে পড়ি আমি। বাসে ওঠার
মিনিট দশেক পরই মেয়েটি আমার চিন্তা থেকে
উধাও হয়ে যায়। তার কারণ আমাদের অফিসের বস।
জানালার ধারে তিনি বসে ছিলেন। আমি সেটা খেয়াল
না করেই পাশে বসলাম। তিনি যখন বললেন, কেমন
আছো ফাহিম তখন আমি বলি, "জ্বী স্যার ভাল।"
তবে আমার মনে একটা প্রশ্ন খচখচ করছিল, তিনি
কেন বাসে উঠেছেন? এমনই যখন ভাবছি তখন তিনি
ওপরের দিকে তাকিয়ে নিজ থেকেই বললেন,
"সবই তার ইচ্ছা, বুঝলে?"
আমি বলি, "না স্যার, বুঝিনি।"
তিনি না হেসে পারেন না। বলেন, "না বোঝারই কথা,
এখনও তো কিছু এক্সপ্লেইনই করিনি।"
"ও আচ্ছা।"
"আমাকে বাসে দেখে অবাক হওনি?"
"জ্বী স্যার, হয়েছি।"
"বুঝলে, অফিসের বাইরেও আমাদের একটা
জীবন আছে। আর তুমি তো আমার এম্নিতেই
অনেক পরিচিত। তাছাড়া মানুষ মাত্রই সামাজিক জীব।"
আমি চুপ করে শুনে গেলাম, এই প্রস্তাবনা শেষ
করে উনি মূল ঘটনা কখন বলবেন তার অপেক্ষায়
রইলাম। তিনি বললেন, "বুঝলে ফাহিম, আমার এই বাসে
ওঠার কারণ আমার স্ত্রী।"
"কেন স্যার?"
"গতকাল আমাদের ম্যারেজ ডে ছিল, সেই
উপলক্ষে আমার তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরবার কথা, আমি
ফিরেছি রাত একটায়। এই নিয়েই বাকবিতণ্ডা।"
"তারপর?"
"তারপর আর কী? তিনি আমাকে আর গাড়িতে চড়তে
দিলেন না। তার একটাই কথা, বাসে করে যেতে
হবে।"
"আপনিও রাজি হলেন?"
"উপায় নেই ভাই। আমি যে ঘরজামাই।"
কথা শুনে তৎক্ষণাৎ হাসি পেলেও বসের জন্য
একটু মন খারাপ হল। বেচারা।
"তোমাকে একটা ছোট্ট উপদেশ দিই?"
"জ্বী স্যার, অবশ্যই।"
"জীবনে কখনও বিয়ে করবে না।"
.
আমি কিছু বললাম না। হঠাৎ কেন জানি মেয়েটির কথা
মনে পড়ে গেল। তাকে আমি চিনি না, সেও আমায়
চিনে না। প্রায়ই তার সাথে বাসস্টপে দেখা হয়
আমার। অথচ সে বাসের জন্য অপেক্ষা করে না।
তাহলে বাসস্টপে এসে দাঁড়াবার রহস্যটা কী?
.
মেয়েটির সাথে আমার প্রথম দেখা হয় যেদিন
সেদিন সে খুব অদ্ভুত আচরণ করেছিল। শুরুতেই
কাছে এসে বলল, "আপনার কাছে একটা সিগারেট
হবে?"
আমি হাসার চেষ্টা করে বলি, "সরি, আমি নন
স্মোকার।"
"ও আচ্ছা। আমার বয়ফ্রেন্ডের সাথে ব্রেক-আপ
হয়ে গেছে, এজন্যই সিগারেট খেতে চাইছিলাম।"
"ব্রেক-আপ হলে সিগারেট খেতে হয়?"
"না, তা ঠিক নয়। সে চেইন স্মোকার ছিল। আমি
সিগারেট ছাড়তে বলায় সে আমার সাথে ব্রেক-আপ
করেছে। তাই হঠাৎ ইচ্ছে হল জানবার সিগারেটে
এমন কী আছে যেটার জন্য সে আমাকে
ছেড়ে চলে গেল।"
মেয়েটি একটানে কথাগুলো বলে আমার
চোখের দিকে তাকালো। অদ্ভুত সেই
মেয়েটির দৃষ্টিভঙ্গিও ছিল অদ্ভুত। অনেকখানি মায়া
ছিল তাতে। আমি সেই মায়ায় পড়ে গেলাম।
.
এই মায়ায় আমাকে এক নির্মম সত্যির কাছে নিয়ে
গিয়ে দাঁড় করালো। একদিন রঙিন এক শার্ট পরে
বাসস্টপে এসে দাঁড়ালাম। তারপর মেয়েটির জন্য
অপেক্ষা করতে লাগলাম। কিন্তু পরপর দুটি বাস মিস
হওয়া সত্ত্বেও সে এলো না। তিন নম্বর বাসটি
আসামাত্রই সে চলে এলো। আজ তার মুখ বিষণ্ণ
দেখাচ্ছে। আমার দিকে সে তাকিয়ে অল্প হাসার
চেষ্টা করলো, কিন্তু হাসি ফুটলো না। আমি কাছে
এগিয়ে যেতেই সে বলে, "আমার জন্য
অপেক্ষা করছিলেন বুঝি?"
"আমি তোমার সম্পর্কে জানতে চাই।"
"জানলে কষ্ট পাবেন।"
আমি তার কথায় তেমন পাত্তা না দিয়ে রিকশা দাঁড়
করাতে ব্যস্ত হয়ে যাই। তারপর রমনা পার্কে গিয়ে
বসি দুজন। আমি বলি, "এবার বলো তোমার নাম কী?"
"তিতলি।"
"তিতলি, তুমি কি জানো তোমাকে আমার ভাল লাগে?"
তিতলি কিছু না বলে কাঁদতে শুরু করে। আমি বলি,
"কাঁদছ কেন?"
তিতলি জবাব দিলো না।
"আচ্ছা, তোমার কি মনে হয় আমি তোমার যোগ্য
নই?"
"আমি সেটা বলিনি।"
"তাহলে? তুমি কি বিবাহিতা?"
"না।"
"তাহলে আর কী সমস্যা থাকতে পারে?"
সে অশ্রুভেজা চোখে আমার দিকে তাকিয়ে
বলে, "আমি এ জগতের বাসিন্দা নই।"
"মানে?"
"অনেক আগেই আমি মারা গেছি।"
তিতলি এরপর অস্ফুট স্বরে কিছু একটা বলল, আমি
শুনতে পেলাম না। আমি বলি, "কেন মজা করছো?"
"বিশ্বাস না হলে পরীক্ষা করতে পারো। তুমি ছাড়া
এমন কেউ নেই যে আমাকে দেখতে পাবে।"
পাশ দিয়েই একজন হেঁটে চলছিল, তাকেই দাঁড়
করালাম।
"এই যে ভাই... বেঞ্চে বসা মেয়েটিকে
দেখতে পাচ্ছেন?"
লোকটি বেঞ্চের দিকে তাকিয়ে আমার দিকে
এমনভাবে তাকালো যেন আমি পাগল। আরও একটা
লোককে দাঁড় করালাম, সেও কাউকে দেখতে
পেল না। কিন্তু আমি তখনও ব্যাপারটা বিশ্বাস করতে
পারছিলাম না। এভাবে অনেকজনকেই একই প্রশ্ন
করলাম, কারও থেকেই কাঙ্ক্ষিত জবাব পেলাম না।
হতাশ হয়ে বেঞ্চের দিকে ফিরতেই দেখি তিতলি
সেখানে নেই। আমি আশেপাশে সবখানে খুঁজলাম,
হয়রান হয়ে খুঁজলাম। পেলাম না। কয়েকবার নাম ধরে
ডাকলাম, সাড়া দিলো না কেউ।
.
এভাবে বহুদিন গত হল, তিতলিকে আর কোথাও
খুঁজে পেলাম না। জানি না, সে কোথা থেকে
এসেছিল। কেনইবা এসেছিল আমার জীবনে। শুধু
জানি এই কষ্টের দহন থেকে আমার মুক্তি নেই।
...
লেখাঃ ক্ষুদ্র লেখক (টুম্পার বাবু)

No comments