ভাবি যখন স্ত্রী
সোহেল আর সুমন তারা দুই ভাই , বড় ভাইয়ের নাম সোহেল , আর ছোট ভাইয়ের নাম সুমন । সোহেল তিন বছরের বড় । বড় ভাই হলেও তাদের সম্পর্কটা বন্ধুর মতোই , দুইজনেই একদম ফ্রি ভা
বে কথাবার্তা বলে ।
কে বড় কে ছোট সেটা কখনও দেখে না । দুজনেই একে অন্যের কাছে সবকিছু শেয়ার করে । দুজনে এতটাই
ফ্রি ছিলো ,কোন মেয়ের সাথে কথা বললেও একজন
আরেক জনের সামনে কথা বলতো ,কেউ কারো কাছে কিছুই লুকাতো না । সোহেলের একটা মেয়ের সাথে সম্পর্ক ছিলো তার নাম সাদিয়া । তার সম্পকে সবকিছু সুমন কে বলতো । সব সময় তার সামনে সাদিয়ার সাথে কথা বলতো ।
----
সোহেলের সম্পর্কের যখন দেড় বছর হলো , তখন সাদিয়ার বাসা থেকে তার বিয়ের কথাবার্তা ফাইনাল করে ফেলে একটা ছেলের সাথে । তখন সে বলে ,
এই বিয়ে সে করতে পারবে না , কারন সে সোহেল কে ভালোবাসে । বিয়ে করলে শুধু তাকেই করবে । অন্য
ছেলে কে বিয়ে করা তার পক্ষে সম্ভব না । তার মা বাবা কে অনেক বুঝালো , কিন্তু কিছুতেই তার বাবা মা রাজি হলো না ।তাই সে বাসা থেকে জিদ করে একবারে চলে আসে সোহেলের কাছে । তারপর কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করে নেয় ।
----
বিয়ের পর খুব সুখে ঘর সংসার করতে লাগলো দুই জনে ।দেড় বছর পর তাদের ঘরে একটা ফুটফুটে মেয়ে জন্ম হয় । সে তাদের ঘরটা আলোকিত করে তুলে ।
ঘরের সবাই অনেক সুখে ছিলো হাসিখুশি ছিলো ।
কিন্তু যখন তাদের মেয়ের বয়স তিন মাস হয় , তখন সোহেল খুব অসুস্থ হয়ে পরে । অনেক ডাক্তার
দেখিয়েও তার রোগ টা ভালো হয়নি ।দেড় মাস অসুস্থ থাকার পর সে মারা যায় ।
---
সোহেলের মৃত্যুর পর সাদিয়া একদম ভেঙে পড়ে ।
সে ঠিকমত খাওয়া দাওয়া করতো না , সবসময় চুপচাপ
বসে থাকতো কারো সাথে কথাবার্তা বলতো না । তার দুধের বাচ্চা টার দেখাশোনা ঠিক মতো করতো না ।
এতে মেয়ে টা ও অসুস্থ হয়ে পরে । অন্য দিকে সোহেলের বাবা মা সাদিয়া কে বলে তার বাপের বাড়ি চলে যেতে এটা নাকি তার জন্য আর তার মেয়ের জন্য ভালো হবে । আচ্ছা সাদিয়া কি মুখ নিয়ে তার বাপের বাড়ি যাবে । যে মেয়ে ভালোবাসার জন্য বাবা মা বাসা বাড়ি সবকিছু ছেড়ে এসেছে ।সেই মেয়ে কি করে আবার বাসায় ফিরে যাবে , কোন মুখ নিয়ে তাদের সামনে গিয়ে দাঁড়াবে, আর তার বাবা মা কি তাকে মেনে নিয়ে ঘরে জায়গা দিবে ,আর এখন তো সে একা না সাথে একটা মেয়েও আছে ।
---
সুমন এই সবকিছু লক্ষ করে , সাদিয়া আর তার ভাইয়ের মেয়ের কথা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেয়
সাদিয়া কে সে বিয়ে করবে । তাই সে সরাসরি সাদিয়া কে বিয়ের কথা বলে । কিন্তু সাদিয়া কিছুতেই রাজি হয়নি । এরপর সুমন তাকে বোঝাতে লাগলো ,
দেখেন আমি যা করতে যাচ্ছি সেটা সবার ভালোর
জন্য , একবার ভেবে দেখেন আপনি আপনার বাসাতে যেতে পারবেন না । এদিকে বাবা মা আপনাকে রাখতে রাজি না । আপনি এই দুধের বাচ্চা টা কে নিয়ে কোথায় থাকবেন ,কোথায় খাবেন । আমি বিয়ে টা আপনার জন্য বা আমার জন্য করছি না । একমাত্র ভাইয়ের মেয়ের কথা ভেবে তার ভবিষ্যৎ এর কথা ভেবে বিয়েটা করার কথা বললাম ।
সুমন অনেক ভাবে বোঝানোর পর সাদিয়া বিয়ে করতে রাজি হয় ।
এরপর সুমন তার বাবা মা কে বললো , কিন্ত উনারা রাজি হলো না । তারপরও অনেক বুঝালো ,
কিন্তু কোনো রখমে রাজি করাতে পারল না ।
পরে তার বাবা মা রাজি না হওয়ার কারণে । দুজনেই কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করে নেয় । ---
তাদের বিয়ে হলো এখন প্রায় দুই বছর কিন্তু এখনো
সুমনের মা বাবা তাদের বিয়ে টা মন থেকে
মেনে নেয়নি । তাদের সাথে তেমন কথাবার্তা বলে না ,
শুধু তার বাবা মা যে বিয়ে টা মেনে নিতে
পারেনি তা নয় । তার সব আত্মীয় স্বজনেরা
কেউ তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করে না ।
ভালো ভাবে কথাবার্তা বলে না ।সবাই এমন ভাবে কথা বলে , মনে হয় সুমন জেনো কোনো বড় ধরনের অপরাধ করছে । যে অপরাধের কোনদিন ক্ষমা নাই ।
---
এখন সুমনের মনে শুধু একটাই প্রশ্ন
সাদিয়ার কথা ভেবে আর তার বড় ভাইয়ের মেয়ের কথা ভেবে ,তাদের ভবিষ্যৎ এর কথা চিন্তা করে ।
সে যে কাজটা করছিলো ।
সেটা কি তার করা উচিত হয়নি , তার এই কাজটা করা
একটা অন্যায় একটা অপরাধ ছিলো ।নাকি যা করছে ভালোর জন্যই করছে ।
---
[ সত্যি ঘটনা নিয়ে লেখা গল্প টা ]
বে কথাবার্তা বলে ।
কে বড় কে ছোট সেটা কখনও দেখে না । দুজনেই একে অন্যের কাছে সবকিছু শেয়ার করে । দুজনে এতটাই
ফ্রি ছিলো ,কোন মেয়ের সাথে কথা বললেও একজন
আরেক জনের সামনে কথা বলতো ,কেউ কারো কাছে কিছুই লুকাতো না । সোহেলের একটা মেয়ের সাথে সম্পর্ক ছিলো তার নাম সাদিয়া । তার সম্পকে সবকিছু সুমন কে বলতো । সব সময় তার সামনে সাদিয়ার সাথে কথা বলতো ।
----
সোহেলের সম্পর্কের যখন দেড় বছর হলো , তখন সাদিয়ার বাসা থেকে তার বিয়ের কথাবার্তা ফাইনাল করে ফেলে একটা ছেলের সাথে । তখন সে বলে ,
এই বিয়ে সে করতে পারবে না , কারন সে সোহেল কে ভালোবাসে । বিয়ে করলে শুধু তাকেই করবে । অন্য
ছেলে কে বিয়ে করা তার পক্ষে সম্ভব না । তার মা বাবা কে অনেক বুঝালো , কিন্তু কিছুতেই তার বাবা মা রাজি হলো না ।তাই সে বাসা থেকে জিদ করে একবারে চলে আসে সোহেলের কাছে । তারপর কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করে নেয় ।
----
বিয়ের পর খুব সুখে ঘর সংসার করতে লাগলো দুই জনে ।দেড় বছর পর তাদের ঘরে একটা ফুটফুটে মেয়ে জন্ম হয় । সে তাদের ঘরটা আলোকিত করে তুলে ।
ঘরের সবাই অনেক সুখে ছিলো হাসিখুশি ছিলো ।
কিন্তু যখন তাদের মেয়ের বয়স তিন মাস হয় , তখন সোহেল খুব অসুস্থ হয়ে পরে । অনেক ডাক্তার
দেখিয়েও তার রোগ টা ভালো হয়নি ।দেড় মাস অসুস্থ থাকার পর সে মারা যায় ।
---
সোহেলের মৃত্যুর পর সাদিয়া একদম ভেঙে পড়ে ।
সে ঠিকমত খাওয়া দাওয়া করতো না , সবসময় চুপচাপ
বসে থাকতো কারো সাথে কথাবার্তা বলতো না । তার দুধের বাচ্চা টার দেখাশোনা ঠিক মতো করতো না ।
এতে মেয়ে টা ও অসুস্থ হয়ে পরে । অন্য দিকে সোহেলের বাবা মা সাদিয়া কে বলে তার বাপের বাড়ি চলে যেতে এটা নাকি তার জন্য আর তার মেয়ের জন্য ভালো হবে । আচ্ছা সাদিয়া কি মুখ নিয়ে তার বাপের বাড়ি যাবে । যে মেয়ে ভালোবাসার জন্য বাবা মা বাসা বাড়ি সবকিছু ছেড়ে এসেছে ।সেই মেয়ে কি করে আবার বাসায় ফিরে যাবে , কোন মুখ নিয়ে তাদের সামনে গিয়ে দাঁড়াবে, আর তার বাবা মা কি তাকে মেনে নিয়ে ঘরে জায়গা দিবে ,আর এখন তো সে একা না সাথে একটা মেয়েও আছে ।
---
সুমন এই সবকিছু লক্ষ করে , সাদিয়া আর তার ভাইয়ের মেয়ের কথা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেয়
সাদিয়া কে সে বিয়ে করবে । তাই সে সরাসরি সাদিয়া কে বিয়ের কথা বলে । কিন্তু সাদিয়া কিছুতেই রাজি হয়নি । এরপর সুমন তাকে বোঝাতে লাগলো ,
দেখেন আমি যা করতে যাচ্ছি সেটা সবার ভালোর
জন্য , একবার ভেবে দেখেন আপনি আপনার বাসাতে যেতে পারবেন না । এদিকে বাবা মা আপনাকে রাখতে রাজি না । আপনি এই দুধের বাচ্চা টা কে নিয়ে কোথায় থাকবেন ,কোথায় খাবেন । আমি বিয়ে টা আপনার জন্য বা আমার জন্য করছি না । একমাত্র ভাইয়ের মেয়ের কথা ভেবে তার ভবিষ্যৎ এর কথা ভেবে বিয়েটা করার কথা বললাম ।
সুমন অনেক ভাবে বোঝানোর পর সাদিয়া বিয়ে করতে রাজি হয় ।
এরপর সুমন তার বাবা মা কে বললো , কিন্ত উনারা রাজি হলো না । তারপরও অনেক বুঝালো ,
কিন্তু কোনো রখমে রাজি করাতে পারল না ।
পরে তার বাবা মা রাজি না হওয়ার কারণে । দুজনেই কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করে নেয় । ---
তাদের বিয়ে হলো এখন প্রায় দুই বছর কিন্তু এখনো
সুমনের মা বাবা তাদের বিয়ে টা মন থেকে
মেনে নেয়নি । তাদের সাথে তেমন কথাবার্তা বলে না ,
শুধু তার বাবা মা যে বিয়ে টা মেনে নিতে
পারেনি তা নয় । তার সব আত্মীয় স্বজনেরা
কেউ তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করে না ।
ভালো ভাবে কথাবার্তা বলে না ।সবাই এমন ভাবে কথা বলে , মনে হয় সুমন জেনো কোনো বড় ধরনের অপরাধ করছে । যে অপরাধের কোনদিন ক্ষমা নাই ।
---
এখন সুমনের মনে শুধু একটাই প্রশ্ন
সাদিয়ার কথা ভেবে আর তার বড় ভাইয়ের মেয়ের কথা ভেবে ,তাদের ভবিষ্যৎ এর কথা চিন্তা করে ।
সে যে কাজটা করছিলো ।
সেটা কি তার করা উচিত হয়নি , তার এই কাজটা করা
একটা অন্যায় একটা অপরাধ ছিলো ।নাকি যা করছে ভালোর জন্যই করছে ।
---
[ সত্যি ঘটনা নিয়ে লেখা গল্প টা ]
খারাপ কি ভালো তার উচিত আরেকটা বিবাহ করা মা বাবা কথা মতে।।
ReplyDeleteOnek balo korese
ReplyDelete