Header Ads

স্বার্থপর মেয়ে

সবাই তার ভালবাসা পূর্ণভাবে পায় না। তাই তো প্রতিটা মানুষই কোন না কোন দিক থেকে অসম্পূর্ণ। কেয়ার জন্মের সময় মা মারা গেছিল। ভালবাসার সঙ্গী হয়ে রয়ে গেল বাবা। যখন তার বয়স ৩ মাস তখন তার বাবা তাকে লালন পালনের জন্য আরেকটা মা ঘরে আনেন। কিন্তু এখনকার মাকে শর্ত দিয়ে বিয়ে করেছেন যে কখনও যেন আর সন্তান না চায়। কেয়াই তাদের একমাএ সন্তান।আর কেউ তার জায়গা দখল করতে পারবে না। প্রথম প্রথম শর্তটার প্রতি নতুন মার কোন অভিযোগ ছিলো না। কিন্তু সময়ের সাথে তার নিজের সন্তানের জন্য যেন আগ্রহ বেড়েই চলেছে। কেয়ার বাবা এক কথার মানুষ।যা বলেই তাই। কেয়া এখন যথেস্ট বড় হয়েছে। ৩ শেণীতে পড়ে। সে মাঝে মাঝে দেখে আর শুনে তার মা বাবাকে বলছে কেয়া তো অনেক বড় হয়েছে। এখন আমাদের একটা সন্তান নিলে তো সমস্যা নেই। কিন্তু বাবা এ বিষয়ে কথাই শুনতে চান না। তিনি বলেন কেয়াই তো আমাদের মেয়ে। প্রতিটা মেয়েরই প্রথম ভালবাসা তার বাবা আর মা হলো প্রতিটা মেয়ের জন্য আর্দশ। মায়ের কাজ কর্ম, কথা বার্তা মেয়েদের জন্য শিক্ষা। তবে কেয়ার মা কেয়াকে এতোটা কাছে নিতো না। তিনি যেন মায়ের দায়িত্বটা পালন করছেন আর কিছু না। কেয়াকে ওনার কাছে আপন মনে হয় না। ভালবাসা দিতেও যেন ওনি কৃপনতা করেন। তবে মায়ের আর্দশ গ্রহন না করলেও বাবার থেকে কল্পনার বাহিরের ভালবাসা পেয়েছে। বাবা তার প্রতিটা চাওয়া পাওয়া পূরনে সর্বদা বেকুল থাকতো। যেন কেয়ার জন্য আকাশের চাঁদটাও আনার শেষ চেস্টা পর্যন্ত করবেন তিনি। এজন্যই হয়তোবা প্রতিটা মেয়ের প্রথম ভালবাসা তার বাবা। কেয়া এখন অনেক বড় হয়েছে।বুঝতে শিখেছে আপন পরের পার্থক্য। এখন সে কস্ট পেলেও লুকিয়ে রাখতে পারে। আগের মতো কস্ট পেলেই বাবাকে জরিয়ে সব বলে দেয় না। এখন সে কস্টকে, নিজের ইচ্ছা অনিচ্ছা সব বুকের গহীনে লুকিয়ে হাসে। কেয়ার ফুফু কেয়াকে অনেক পছন্দ করে। ছোট থেকেই কেয়ার ফুফু কেয়াকে বলে তুই আমার ঘরের বউ হবি। তার ফুফাতো ভাইও কেয়াকে অনেক পছন্দ করতো। কিন্তু কেয়ার পছন্দের মানুষ হয়ে গেছে অন্য কেউ। কেয়া তার মনের মতো কাওকে পেয়েছে।যার সাথে সে তার মনের সব কথা প্রকাশ করতে পারে। যেমন ভাবে অবুঝ থাকা অবস্থায় তার বাবাকে জরিয়ে বলতো। কেয়া তার বাবাকে অনেকবার বলেছে আমি যদি কাওকে পছন্দ করি বিয়ে করতে চায় তুমি কি আমার কথা রাখবে। তার বাবার উওর একটাই তিনি তার বোনকে কথা দিয়েছেন।অর্থাৎ ফুফাতো ভাইকেই বিয়ে করতে হবে। কিন্তু কেয়া তার মনের মানুষকে এমণভাবে জায়গা দিয়ছিল যে কোন ভাবে তাকে ভুলা বা তার নাম মন থেকে মুছে ফেলা অসম্ভব। কেয়ার বিয়ে ঠিক হলো কিন্তু কেয়া বুঝতে পারলো না কি করবে।তার বাবাকে খুশি করার জন্য ফুফাতো ভাইকে বিয়ে করবে নাকি নিজের সুখের জন্য নিজের মনের মানুষের হাত ধরবে। তার শেষ সিদ্বান্ত হলো মনের মানুষকে পাওয়ার আবেগ প্রবনতা।তাই তো সে তার মনের মানুষের সাথে পালিয়ে এসেছে বাড়ি থেকে। বাবার আদরের, ভালবাসার মেয়েটি আজ নিজের ভালবাসার জন্য তার বাবার কাছে স্বার্থপর হয়ে গেল.........

No comments

Powered by Blogger.