Header Ads

গল্প-- পরী।
লেখক--#S_M_Sahadat_Hossen(কষ্টের ফেরিওয়ালা)
>>>পর্ব:-১২<<<
.
.
আর কিছুক্ষন ঘুরে আমি আর তানজিনা তাদের বাসাই চলে আসলাম। আজ ওর আব্বুর সাথে কথা বলে আমি চলে যাব আমাদের পৃথিবীতে।
.
রাতে তানজিনার আব্বুর সামনে বসে আছি,
- তোমার আব্বু আম্মু কী জানে যে তুমি তানজিনাকে ভালোবাসো?(তানজিনার আব্বু)
- জ্বি জানে।(আমি)
- ওরা মেনে নিয়েছে?(তানজিনার আব্বু)
- জ্বি মেনে নিয়েছে।(আমি)
- ঠিক আছে, যদি তোমার আব্বু আম্মু মেনে নেই তাইলে কয়েকদিন পর তোমাদের বিয়ে।(তানজিনার আব্বু)
বিয়ে শব্দটা শুনে মনের মধ্যে অসম্ভব ভালো লাগা কাজ করছে। তানজিনাকে আমার করে পাব ভাবতেই অবাক লাগছে। আমি খুশি হয়ে বললাম,
- আচ্ছা। এবার আমাকে পৃথিবীতে যেতে হবে।
- ঠিক আছে তুমি যাও।(তানজিনার আব্বু)
.
সবার কাছ থেকে বিদায় নিয় নিলাম। শেষে ফারিয়া কাছে গেলাম,
- দুলাভাই আবার কবে আসবেন?(ফারিয়া)
- কয়েকদিন পর আবার আসব।(আমি)
- আমার না আপনাদের পৃথিবীটা দেখার খুব ইচ্ছা কিন্তু আমি ছোট বলে আমাকে কেও নেয় না।(ফারিয়া)
- আচ্ছা কয়েকদিন পর আসলে আমি তোমাকে নিয়ে যাব আমাদের পৃথিবীতে।(আমি)
- সত্যি....?(ফারিয়া)
- হুমমম সত্যি....(আমি)
- এই তো আমার লক্ষি দুলাভাই।(ফারিয়া)
ওর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসলাম। তানজিনার কাছে।
.
তানজিনাকে আমাকে সাথে নিয়ে উড়াল দিল। আমাদের পৃথিবীর উদ্দেশ্যে।
- আচ্ছা তানজিনা তুমি তোমার আব্বুকে কী ভাবে আমাদের সম্পর্কের কথা বললে?(আমি তানজিনাকে জিজ্ঞেস করলাম)
- আমাকে বিয়ে করার জন্য এক জ্বিনের ছেলে প্রস্তাব দিয়েছিল আব্বুর কাছে। আব্বু আমাকে না বলে কোন কিছু করে না। আব্বু আমাকে বিয়ের কথা বললে আমি তোমার আর আমার সম্পর্কের কথা আব্বুকে বলেছি। আর আব্বু মেনে নিয়েছে।(তানজিনা)
- ও আচ্ছা।(আমি)
এরপর আর কোন কথা বললাম না। তানজিনা আমাকে নিয়ে আমাদের বাগানে এসে নামলা। আমি চারদিকে তাকিয়ে দিকে কিছুটা অন্ধকার কেটে গেছে। ভুরের হালকা আলো পরছে চারদিকে।
- এবার আমি যায়? কাল দেখা হবে।(আমি)
- হুমমম যাও।(তানজিনা)
কিছুদূর গেলাম। তানজিনা আবার আমাকে পিছন থেকে ডাক দিল।
- শাহাদত.....(তানজিনা)
- কী?(আমি)
আমার কাছে এসে সেই আগের কাজটা করে নিল। মানে আমার কপালে একটা চুমু দিল। এটা দিয়ে সে অদৃশ্য হয়ে গেল। আমিও চলে আসলাম আমাদের বাসাই। বাসাই এসে আম্মু আব্বুর রুমে গেলাম। দেখি আব্বু আর আম্মু এখনও ঘুমাচ্ছে। আমি আমার রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।
.
ঘুম ভাঙ্গল ১০ টার দিকে। ওঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তার টেবিলে গেলাম। সামনের রুমে গিয়ে দেখি আব্বু বসে বসে পেপার পড়ছে, আমাকে দেখে আব্বু বলল,
- কাল সারা রাত কই ছিলে তুমি?(আব্বু)
- আব্বু আমি..... আমি বলার আগে আব্বু আবার বলল,
- মিত্যা বলবে না সত্যিটা বলবে।(আব্বু)
- আব্বু আমি পরীর দেশে গিয়েছিলাম।(আমি)
আমার কথা শুনে আব্বু চমকে উঠল,
- মানে? কার সাথে গেছু?(আব্বু)
- তানজিনার সাথে।(আমি)
তারপর আব্বুকে সব বললাম এবং বিয়ের কথাটা সহ বললাম। আব্বু বলল,
- ওর বাবা মা রাজী থাকলে আমরা আর কী বলব। ওরা যা ভালো বুঝে তাই করুক।
আব্বুর কথা শুনে খুব খুশি হলাম।
.
কয়েকদিন পর আমাদের বিয়ে। আমি ভাবতেও পারি নাই যে তানজিনাকে আমার করে পাবো। খুব ভালো লাগছে আমার। তানজিনাকে সারা জীবনের জন্য পাশে পাব, যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন তার মায়াবী চোখ দুটি দেখতে পারব, দেখতে পারবো তার মায়াবী মুখটি, দেখতে পারবো তার ঠোঁটের হৃদয় ছোঁয়া হাসিটা। ভাবতেই হৃদয়ে অনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে।
.
আজ আমার আর তানজিনার বিয়ে। আমাদের বিয়েটা খুব জাঁকজমক ভাবে হচ্ছে, পরী আর মানব সন্তানের বিয়ে বলে কথা সবাই খুব আনন্দ করছে। তবে তানজিনা যে পরী সেটা আব্বু আম্মু আর আমি ছাড়া কেউ জানে না। যতাসময়ে সব কাজ সম্পূর্ণ হলো।
.
তানজিনা রুমে বউ সেজে বসে আছে আমি রুমে ঢুকলাম। তানজিনার পাশে গিয়ে বসলাম।
- বাইরে তাকিয়ে দেখ আজকের আকাশটা অন্যরকম সুন্দর চল না বগানে যায়?(তানজিনা)
- হুমম চল,,,(আমি)
- কী হল বসে আছ কেন? যাবে না?(আমি)
- আমি হেঁটে যেতে পারবো না।(তানজিনা)
- তো...?(আমি)
- তো মানে কী? আমাকে কোলে করে নিয়ে যাওয়(তানজিনা)
আমি তানজিনাকে কোলে তুলে নিলাম। তানজিনা আর আমি বসে আছি খোলা নীল আকাশের নিচে, মাথার উপর রয়েছে হাজারো তারা, আর একটুকরো মায়াবী চাঁদ, যার মায়াবী আলোই আলোকিত হয়ে আছে পৃথিবী। আর আলোকিত হয়ে আছে তানজিনার মায়াবী মুখ খানি। আজকে তানজিনাকে নিজের করে পেয়েছি ভাবতেই খুব আনন্দ লাগছে। আর আজকের আকাশের তারা গুলোর ও মেনে হয় আনন্দের একটা দিন। তারা আনন্দে জ্বলমল করছে আর সুন্দর করে তুলছে নীল আকাশটাকে। তানজিনা আমার কাধে মাথা রেখে বসে আছে।
- তানজিনা.....(আমি)
- হুমমম....(তানজিনা)
- চল না নীল আকাশে ভেসে তারা গুলোর সাথে আমরাও আনন্দে মেথে ওঠি।(আমি)
- হুমমম চল।(তানজিনা)
.
আমি আর তানজিনা আকাশে ভাসছি। প্রতিদিনের চাইতে আজকে বেশি ভালো লাগছে। আমরাও আজকের আকাশের তারা গুলোর সাথে মিশে আনন্দ করতেছি

No comments

Powered by Blogger.