Header Ads

চশমা পরা ছেলেটার মায়াবি চেহারা

এই আপনি আমার ফোন রিসিব করছিলেন না কেন?(মেয়ে)
না মানে মানে(ছেলে)
মেয়- কি মানে মানে করতেছেন!
মিনমিন বন্ধ করুন...
ছেলে- বুকের ভেতরটা ধুকধুক করছিল।
মেয়ে- আমি রাখসি না যে। আপনাকে খেয়ে ফেলবো এত দূর থেকে?
ছেলে- না আসলে আগে কোন মেয়ের কথা বলিনি তো, তাই।
মেয়ে- আহা! ন্যাকামো করেন আমার সাথে? একটা উষ....হুম, কি করেন?
ছেলে- উষ কি? চাঁদ দেখি। দেখবা?
মেয়ে- উষ মানে কচু। আমিও দেখতেছি।
ছেলে- তাই। আমাদের কত্ত মিল।
মেয়ে- বাহ! ভালোই কথা বলতে পারেন... মা তো বললো আপনি কথাই বলতে পারেন না।
ছেলে- আন্টির কি ধারনা আমি বোবা
মেয়ে- উফ! বেশি বুঝবেন না।
ছেলে- আচ্ছ....
মেয়ে- আপনি কি আমাকে নিয়ে গভীর রাতে ঝুম বৃষ্টিতে ভিজতে পারবেন? বা চাঁদ দেখতে পারবেন?
ছেলে- পারবো না কেনো? সব করতে পারবো?
মেয়ে- তাই! ফ্যান ধরে উল্টো হয়ে ঝুলে থাকতে পাবেন?
ছেলে- এ্যা! এটা কি সম্ভব?
মেয়ে- তবে যে বললেন সব পারবেন।
ছেলে- মানে ইয়ে....
মেয়ে- হয়েছে বুঝেছি, আজকে ঘুমান। পরে কথা হবে।
ছেলে- আর একটু.
মেয়ে- কি?
ছেলে- না মানে আচ্ছা। শুভ রাত্রি।
মেয়ে- কাল বিকেলে দেখা করব!
ছেলে- কালকেইইইইই!
মেয়ে- হুম। ঠিক বিকাল পাঁচটা....।
কথাটি বলেই বলেই লাইনটি কেটে দিল মেয়েটি। ছেলেটির সাথে মেয়েটির পারিবারিক ভাবে বিয়ে ঠিক হয়েছে। ছেলেটি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করে। ছেলেটার নাম শ্রাবন।আর মেয়েটির নাম রিশা।মেয়েটা ছেলেটাকে অনেক পছন্দ করত। আর পছন্দ হবে নাই বা কেনো মোটা ফ্রেমের চশমা পড়া মায়াবি চেহারা শ্রাবনের।
তাই ভালোই লাগে রিশার।ছেলেটা লাজুক প্রকৃতির,জালাতে পারবে বেশি, ভাবতেই মজা পায়, আর আপন মনে হাসাতে থাকে রিশা।পরের দিন আকাশী ফুল বসানো হালকা গোলাপি রঙের শাড়ি পড়ে রিশা! যত্ন করে খোপা করে চোঁখে কাজল আকেঁ গাঢ় করে। ছেলেটা বসে আছে লালা টুকটুকে গোলাপ হাতে...
রিশা- ফুলটা পরিয়ে দিন!
(হুট করে এমন কথা শুনে চমকে উঠে শ্রাবন... বেশ মিষ্টি লাগছে মেয়েটিকে। আশেপাশের সবকিছুই যেন বেমালুম ভুলে যায় শ্রাবন! আঙুলে তুড়ি বাজিয়ে গোর ভেঙে দিয়ে রিশা বললো...
রিশা- এই যে! কিছু একটা বলছি?
শ্রাবন- ও হ্যা! কোথায় পরিয়ে দেব?
রিশা- এই এখানে, চোখে! ঢুকিয়ে দিন চোখ বরাবর।
শ্রাবন- তোমার এত্ত জেদ কেনো?
রিশা- চুপ। একদম চুপ।
শ্রাবন- উমম সরি., উমম.. কবিতা শুনবা?
রিশা- হুম, বলেন?
শ্রাবন- আমি তোমায় ভালোবাসি, তুমিও বাসো জানি। আমি তোমার প্রানের রাজা, তুমি আমার রাণী
রিশা- হিহি! হি হি হি....
দুজনে হাসতে থাকে। ছেলেটা বাচ্চাদের মতো শব্দ করে হাসছে। হাসতে হাসতে চোখে জল এসে গেছে।অদ্ভুদ মায়াময় দৃশ্য দেকে চুপ হয়ে থাকে রিশা। হারিয়ে ফেলল অন্য এক জগতে নিজেকে, যেখানে কেবল ওরা দুজন; আর অন্য কেউ নেই। অচমকা লখো করল শ্রাবন অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ওর দিকে..., লজ্জায় মাথা নিচু করলো রিশা।
রিশা- নাহ, মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি....
শ্রাবন- কি..?
রিশা- জিবনের বাকি বসন্ত গুলো আপনার সাথে কাটিয়ে দিবো।
এভাবে শুরু হলো দুজনের নতুন জীবনের পথ চলা।
.
(বি.দ্র. এটা আমার প্রথম গল্প। কেমন লাগলো সবাই কমেন্টে জানাবা।)
লেখক: Md. Rony Islam

No comments

Powered by Blogger.